স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলামের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তার ওই বক্তব্য বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতারা ভিডিও পোস্ট করে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার (২৬ মার্চ) পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে ওই অনুষ্ঠানে এ ঘটনাটি ঘটে।
আজ (২৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের একাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করে বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই সাথে তার বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে নেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, ২৬ মার্চ বুধবার দুপুরে জেলা সরকারি অডিটোরিয়াম হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে বক্তব্য দেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত জিয়াউর রহমান কোথায় ছিলেন?’ এছাড়া জিয়াউর রহমানকে নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন তাকে বক্তব্য বন্ধ করতে বলেন, তবে তিনি বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মঞ্চে উপস্থিত কয়েকজনের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় পৌর প্রশাসক সীমা শারমিনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশে জাসদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক প্রধান, জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমীর ইকবাল হোসাইন বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্বাধীনতার ঘোষণা ও জিয়াউর রহমানের ঘোষণা নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিচ্ছিলাম। কাউকে কটুক্তি করিনি। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা নয়, এমন কিছু ব্যক্তি হইচই করে বিরোধিতা করেন। পরে আর কিছু বলা হয়নি। তবে আমি যে বক্তব্যটি দিয়েছিলাম তা অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। আমি এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
প্রতিনিধি/একেবি