সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ট্রিপল মার্ডারে চরমপন্থী দল জড়িত কি না তদন্ত চলছে: স্বরাষ্ট্রসচিব

জেলা প্রতিনিধি, যশোর
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিষিদ্ধঘোষিত কোনো চরমপন্থী দল জড়িত কি না সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি। তিনি বলেন, ‘ঝিনাইদহের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অচিরেই রহস্য বের করা হবে।’

শনিবার যশোরে পিটিআই মিলনায়তনে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশবিষয়ক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


এক দিন আগে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টার দিকে শৈলকূপার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শসানঘান এলাকায় গুলিতে প্রাণ হারান তিন ব্যক্তি।
এদের মধ্যে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক ক্যাডার ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি হানিফ রয়েছেন বলে জানা গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যার বিষয়ে চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন।

দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য ছড়াচ্ছে মন্তব্য করে নাসিমুল গণি বলেন, ‘তিলকে তাল করে একটি গোষ্ঠী কল্পনার ফানুস ওড়াচ্ছে। পুরোনো কোনো ঘটনার ছবি বা ভিডিও নতুন করে পোস্ট করে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা ছিল, সেটা অনেক উন্নতি ঘটেছে। আরও উন্নতি ঘটাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা পুলিশের বিধ্বস্ত বাহিনী পেয়েছিলাম। তারা আস্তে আস্তে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। কোমর সোজা করে দাঁড়াচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে মনের ভাব বুঝছি, তাদের উন্নয়ন ঘটানোর সব উদ্যোগ নিয়েছি।


বিজ্ঞাপন


‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট একত্রে আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ঘটাতে কাজ করছি’—যোগ করেন নাসিমুল গণি।

যশোর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

কর্মশালায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ১৬ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাবলিক প্রসিকিউটর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৩২০ কর্মকর্তা অংশ নেন।

ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন