ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে দলীয় প্রধান থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতারা দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়ানো অবস্থায় এই হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে। তবে, দিনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় হরতালের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। অন্যান্য দিনের মতো আজও সাতক্ষীরা-খুলনা, সাতক্ষীরা-যশোর এবং সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত সাতক্ষীরার বিভিন্ন সড়কে সরেজমিনে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
দেখা গেছে, স্বাভাবিক দিনের মতো মহাসড়কের যানবাহনের চাপ রয়েছে। যাত্রীরাও নির্বিঘ্নে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত হরতাল পালনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা নাশতার সৃষ্টি হয়নি।
এদিকে, হরতালের সমার্থনে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী মশাল মিছিল করে জেলা যুবলীগ। সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে শহরের বকচরা মোড়ে মিছিলটি হয়। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক ভাবে যৌথ উদ্যোগে তালায় বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, তালা উপজেলা ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির। এছাড়া সোমবার রাতে শ্যামনগর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যুবলীগের মিছিলের প্রতিবাদে পাল্টা মশাল মিছিল করেছেন।
সাতক্ষীরা শহরের ভ্যান চালক আনোয়ার সোহেন। তিনি বলেন, হরতালের খবর শুনেছি, কিন্তু রাস্তায় এসে বাস্তবে অন্য চিত্র দেখলাম। গাড়ি অন্যান্য দিনের মতোই চলাচল করছে।
বিজ্ঞাপন
এক পথচারী বলেন, ‘আমরা তো দেখছি গাড়ি ঠিকঠাকভাবেই চলছে। এতবড় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আবার হরতালের ডাক দেয় এটাই অবাক করার বিষয়।’
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল ইসলাম বলেন, হরতালের কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি। আমাদের দশটি টিম শহরে টহলে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।