আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি পিঠা-পুলির আয়োজন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন এই উৎসবের ধারাকে অব্যাহত রাখতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসবে পিঠামেলা ঘিরে জেলার শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে এক জমজমাট পিঠা উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিকেলে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
![]()
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে আয়োজিত পিঠা মেলার উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এ. বি. এম মোখলেছুর রহমান। বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন- শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক বিজন চন্দ্র দেবনাথ, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুরঞ্জিত কিলিকদার, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুদর্শন শীল।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, এই বছর শিক্ষার্থীরা মিলে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসব ঘিরে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমাগম দেখা যায়। পিঠা মেলায় ১২টির মতো পিঠার স্টল দেওয়া হয়। প্রত্যেক পিঠা স্টলে দুপুর ২টার মধ্যেই বেশ অর্ধেক পিঠা বিক্রি হয়ে যায়। বিকেল ৪টার মধ্যে সব পিঠা স্টলের পিঠা সম্পূর্ণ বিক্রি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন
প্রাক্তন শিক্ষার্থী রুপম আচার্য বলেন, শীতের আমেজে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদে ভরপুর ছিল এই উৎসব। কলেজ ক্যাম্পাস সকাল থেকেই তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ছিলেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তাদের সরব উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস।
![]()
গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুদর্শন শীল বলেন, শ্রীমঙ্গলে শীতের যে আমেজ পড়েছে, সেই আমেজকে পূর্ণতা দিতে কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা সবার প্রচেষ্টায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তারুণ্যের উৎসবে মেতেছে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। আমাদের শিক্ষার্থীরা সেই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলি, পায়েস তৈরি করেছে রাত জেগে, এবং সেটা আজকে এই পিঠা উৎসবে উপস্থাপন করেছে। তাদের এই প্রচেষ্টা আমাদের আনন্দিত করেছে।
প্রতিনিধি/এসএস

