বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

প্রত্যর্পণের চাপের মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৮ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ঢাকার পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। গুম ও জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানোর পরই এমন খবর দিলো হিন্দুস্তান টাইমস। 

বুধবার সকালে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যমটি। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কয়েকটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে, ভারতে অবস্থানের সুবিধার্থে সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভিসা বাড়ানো হয়েছে। ভারতে শরণার্থী এবং অ্যাসাইলামের কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই উল্লেখ করে দেশটিতে হাসিনার অ্যাসাইলাম মঞ্জুরের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে সূত্রটি।


বিজ্ঞাপন


Screenshot_2025-01-08_104648
 
বিস্তারিত উল্লেখ না করে ভারতীয় সূত্রটি আরও জানায়, ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর পদক্ষেপটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং এটি করা হয় স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) মাধ্যমে।

আরও পড়ুন

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় দিল্লি, তবে শর্ত সাপেক্ষে!

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুম ও জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় সরকার শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।
 
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, বিভিন্ন অপরাধে ৯৭ জনের পাসপোর্ট‌ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই বিপ্লবে গণহত্যায় জড়িত ৭৫ জন এবং গুমের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।

গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার

শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি ভারত এমন সময়ে করল যখন একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৬ জানুয়ারি হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাদের শেখ হাসিনা ও অন্য ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে ১২ ফেব্রুয়ারি প্যানেলের সামনে হাজির করার নির্দেশ দেয়।

ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

News Hub