শ্রমিক মারধরের অভিযোগে রাজশাহীতে বন্ধ করা হয়েছে বাস চলাচল। এ নিয়ে পরিবহণ শ্রমিকদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার তানোরে বাস শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন মালিকরা। মঙ্গলবারও (১৭ ডিসেম্বর) রাজশাহী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে আন্তঃজেলা সিএনজি চলাচল করতে থাকে।
সিএনজি চালকরা বলেন, রাজশাহী থেকে তানোর রুটে যাত্রী তুলতে ও সিএনজি চলাচলে সমস্যা করে আসছিলেন বাস মালিকরা। বাস বন্ধ থাকায় যাত্রী বেশি পাচ্ছিলাম। বিষয়টি সহজভাবে না নিয়ে বাস শ্রমিকরা চড়াও হয়ে আমাদের সিএনজি ভাঙচুর করেছে। আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন। যাত্রীদেরও ছাড় দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাটা ধাওয়া হলে রেলগেট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহত হয়েছেন ১২ জন। ৯ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। উদ্ভূত ঘটনায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
তবে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বাস মালিক ও শ্রমিকরা বলছেন, সিএনজি চালকদের হামলায় বাসের ৫ জন আহত হয়েছেন।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, তানোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের মারধরে স্বপন আলী, বাবর, শাহীন, নুরুজ্জামান ও কন্ডাক্টর জিয়াসহ ৫-৭ জন বাস শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি, কাউকে আটকও করেনি। তাই সবাই ক্ষুব্ধ।
এ বিষয়ে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি মাসুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হচ্ছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত সবাইকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।
এদিকে, জেলার তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঝামেলা চলছে। সিএনজি শহরে গেলে তাদের আটকানো হয়। তানোরে বাস আসলে সিএনজি চালকরা ক্ষমতা দেখায়। সমস্যাটির সমাধান হওয়া জরুরি।
প্রতিনিধি/এসএস