রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে রাঙাবি চাকমা নামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই গ্রামের ৬০-৭০ জন বৃদ্ধ, শিশু ও নারী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার থেকে ডায়রিয়া আক্রান্তদের সেবা দিতে দুর্গম এলাকায় কাজ করছে জুরাছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম।
বিজ্ঞাপন
মেডিকেল টিমটি শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, আক্রান্ত এলাকার পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীর মানুষ মূলত ঝিরি-ঝরনার পানি পান করে। সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টিপাতের কারণে ঝিরি-ঝরণার পানি নোংরা ও দূষিত হয়ে পড়ার কারণে প্রান্তিক এলাকার এসব মানুষ ডায়রিয়াসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিবছরই সুপেয় পানির সংকটের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়। পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় পাহাড়ে সুপেয় পানির সংকট থাকলেও পানিবাহিত রোগের সমস্যা সমাধানে আসবে না।
মৈদং ইউনিয়নের আমতলা বাদল হাটছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মঙ্গল চাকমা বলেন, গেলো কয়েকদিন দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ার পর এই ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে।
গ্রামের স্থানীয় কারবারি ও ইউপি সদস্য রোহিনী কুমার চাকমা বলেন, পাড়ায় প্রতিটি ঘরে এক বা একাধিক ব্যক্তি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রয়েছে। শুধু ডায়রিয়া নয়, এর পাশাপাশি জ্বরের প্রকোপও বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা জানান, মৈদং ইউনিয়নসহ কিছু কিছু পাড়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত খবর পেয়েছি। শুক্রবার থেকে একটি মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকায় কাজ করছে। ইতোমধ্যে তারা চিকিৎসা সেবা শুরু করেছে। প্রয়োজনে আরও মেডিকেল টিম পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধি/এইচই