মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

‘মুখ দিয়ে বলবেন এগুলো বন্ধ করে দেব, এটা মগের মুলুক নয়’

জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

দেশে নতুন করে ইটভাটা করতে কোনো লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার এমন বক্তব্যে বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান বলেছেন, আমরাও চাই অবৈধ ইটভাট বন্ধ হোক।

তিনি বলেন, ইটভাটা করতে না দিলে আমাদের অসুবিধা নেই। আমরা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী করেছি। কিন্ত আমাদের সঠিক নিদের্শনা দিতে হবে। মুখ দিয়ে বলবেন এগুলো বন্ধ করে দেব, এটা মগের মুলুক নয়। এ ধরণের কথা আমরা কারও কাছ থেকে আশা করি না। যৌক্তিকভাবে আমাদের বলবেন, আমরা যৌক্তিকভাবে সহযোগিতা করব।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রিপোর্টার ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন

‘আগামী দিনের রাজনীতি হবে কেবলমাত্র জনগণের স্বার্থে’

ফিরোজ হায়দার খান বলেন, সারাদেশে ৮ হাজারের ওপরে ইটভাটা রয়েছে। এসব ইট ভাটায় প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মশক্তি হলো ইট ভাটার শ্রমিক। ইট ভাটায় ১ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন জড়িত রয়েছে। ইট ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা এ সরকাররে সহযোগিতা করতে চাই। ইটের বিকল্প এখনও কিছু গড়ে উঠেনি। আমরা পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টার সঙ্গে বসে এসব ব্যাপার আলাপ করব।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে ড্রাম চিমনি বন্ধ করা হয়। কিন্ত এখনও ড্রাম চিমনি চালু রয়েছে। ২০০৭ সালে আবার ফিক্সট চিমনি করা হয়। কিন্ত ফিক্সট চিমনি পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে পরিবেশ বান্ধবের কারণ দেখিয়ে জিকজাক পদ্ধতিতে ইটভাটা করা হয়। এসব পরিবর্তন করতে আমাদের লাখ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সরকারের এমন নীতিমালা না থাকার কারণে দেশের জন্য মঙ্গল নয়।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন