নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের (৩৮) মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) পতাকা বৈঠক শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তারা। এর আগে, ভোরে সীমান্তে গুলি করে আল আমিনকে হত্যা করে বিএসএফ।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ১৬ বিজিবি অধিনায়ক (সিও) লেফটেনেন্ট কর্নেল সাদিকুর রহমান বলেন, ঘটনার পর সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে বৈঠক। এতে ১৬ বিজিবি ও ১৫৯ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা অংশ নেন।
১৬ বিজিবি অধিনায়ক জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে আল আমিনের মৃত্যুর হয়েছে বলে স্বীকার করেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভারতীয় আইনি প্রক্রিয়া ও ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুতই মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএসএফ কর্মকর্তারা।
নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, মঙ্গলবার ভোরে সীমান্তে অন্যান্য রাখালদের সঙ্গে গরু আনতে নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় যায় আল আমিন। এসময় সীমান্তের ২৩২ পিলার এলাকায় ভারতের নীলমারী বিএসএফ টহল দল ধাওয়া করে আল আমিনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ফিরে আসা রাখালদের ভাষ্যমতে বিএসএফ নির্যাতন ও গুলি করে আল আমিনকে হত্যা করে লাশ নিয়ে গেছে। ঘটনার পর আল আমিনের পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তার এক বছর বয়সের একটি সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। মৃতদেহ দ্রুত ফেরত পেতে দাবি করেছেন স্বজনরা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ঘটনার পর নিতপুর এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।
প্রতিনিধি/এমএইচটি