বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

রাজশাহীতে নকল স্বর্ণ বিক্রি করতে গিয়ে নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

রাজশাহীর মোহনপুরে নকল স্বর্ণ বিক্রি করতে গিয়ে মোছা. নাজমা (৩৭) নামে এক নারী আটক হয়েছেন।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কেশরহাট বাজারে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন জুয়েলার্স সমিতির নেতারা।


বিজ্ঞাপন


মোছা. নাজমা যশোরের চাঁচরা কামারপাড়া এলাকার মো. সেলিমের স্ত্রী। তার ননদ সালেহা বেগমকে নিয়ে নকল স্বর্ণ বিক্রি করে আসছিলেন তিনি।

এদিন দুপুরে কেশরহাট বাজারের খায়রুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে স্বর্ণ বিক্রি করতে আসেন নাজমা।

দোকানী খায়রুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণের জিনিস এনে বিক্রি করতে চান ওই নারী। সেটি নিয়ে দামদর চলছিল। তবে স্বর্ণটি খাটি কিনা, তা পরীক্ষা শুরু করি। কিন্তু নকল বলে ধরা পড়ে। এসময় ওই নারীও সেটি স্বীকার করেন। পরে আমরা সমিতিকে জানাই।

খবর পেয়ে অন্যান্য ব্যবসায়ী ও জুয়েলার্স সমিতির নেতারা সেখানে আসেন। স্বপন কুমার নামে আরেক স্বর্ণ ব্যবসায়ীও প্রতারিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ১০-১২ দিন আগে এ মহিলা আমার কাছেও যায়। এরকম জিনিস ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে। খাটি করার পর দেখছি, কোনো স্বর্ণ নাই। আমিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমি ক্ষতিপূরণ চাই। আর এরকম কাজ যাতে না করে, সেজন্য তার তার শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে কেশরহাট জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, এ নারী বেলা দেড়টায় আসে খায়রুলের দোকানে। দুই নাম্বার জিনিস এক নম্বর বলে বিক্রি করতে চায়। চেক করতে গিয়ে ধরা খায়। আমরা তাকে আটক করি। মূলত সে যশোর থেকে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। কখনও রাজশাহীর মোহনপুর, কখনও নওগাঁয় বাসা বলেছে।

বেলাল হোসেন আরও বলেন, আমাদের আরও ৪-৫ জন সদস্য এসেছেন, তারাও ঠকেছেন। বাগমারা থেকে একজন এসেছেন, তিনিও প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছি আমরা। ওই নারীর স্বামী ফোনে যোগাযোগ করেছে। তবে সে আসতে পারবে না বলেছে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী আমরা তার বিচার করেছি।

জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি মো. খৈয়বুর রহমান বলেন, নকল সোনাকে আসল বলে বিক্রি করে ওই নারী। দোকানের মালিকের সন্দেহ হয়। তাকে আটকে রাখে। আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। আমরা এসেছি। তবে মহিলার কোনো অভিভাবক যোগাযোগ করছে না। নারী ভুল স্বীকার করেছে। বিধায় আমরা মুচলেকা নিয়ে ১ সপ্তাহের ভেতরে ক্ষতিপূরণ দিবে মর্মে ছেড়েছি। জামানত হিসেবে তার কিছু অলংকার ও মোবাইল রেখে দিচ্ছি।

এ বিষয়ে ওই নারী বলেন, স্বর্ণটি আমার ননদ দিয়েছিল। আগে কখনও এরকম করিনি। এবারই প্রথম। আমি জানিনা। ননদ তো এখন যোগাযোগই করছে না। তার নাম মোছা. সালেহা বেগম।

মোছা. নাজমা বলেন, ননদের বাসা পাবনার ঈশ্বরদীতে। গতকাল শনিবার তার বাড়িতে এসেছিলাম। সেখান থেকে আজ রাজশাহীর কেশরহাটে স্বর্ণ নিয়ে এসেছি। ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে এখানকার লোকজন। কিন্তু আমার ননদ তো ফোন ধরছে না।

তবে এ ধরণের কোনো ঘটনার বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল। বলেছেন, এখন পর্যন্ত এরকম কোনো বিষয় আমি শুনিনি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

News Hub