স্পোর্টস ডেস্ক
২১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই করছে বাংলাদেশ। আগের ৫ ম্যাচের সবকটিতেই দারুণ সব জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই ছিল আফঈদা খন্দকারের দল। তবে শিরোপা নিশ্চিত ছিল না। ট্রফি জয়ের মিশনে অলিখিত ফাইনালে আজ নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামে লাল-সবুজের দল। কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে মোসাম্মত সাগরিকার অসাধারণ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে নেপালকে উড়িয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে সাগরিকা একাই দিয়েছেন ৪ গোল, স্বাগতিকরাও পেয়েছে ৪-০ গোলের বিশাল এক জয়।
নেপালের বিপক্ষে এ ম্যাচে ড্র করতে পারলেই শিরোপা নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশের। তবে পিটার বাটলারের শিষ্যরা শেষটা রাঙিয়ে রাখলেন বিশাল এক জয় দিয়েই। ম্যাচের শুরু থেকে নেপালকে চেপে ধরে স্বাগতিকেরা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ এসেছিল। তবে তা থেকে লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে প্রথম গোলের দেখা পেতে খুব বেশি অপেক্ষাও করতে হয়নি।
আরও পড়ুন-উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত, যে অনুরোধ জানালেন তামিম ইকবাল
সাত মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন সাগরিকা। পূজা দাসের বাড়ানো বল নেপালের গোলমুখে বাড়ান স্বপ্না। আর সেই বল ধরে দারুণ প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ান সাগরিকা। এই নেপালের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই লাল কার্ড দেখেছিলেন সাগরিকা। ফলে ৩ ম্যাচের নিষধাজ্ঞায় ছিলেন তিনি। তবে ফিরেই গোল করে উদ্দাম উদযাপনে তিনি বুঝিয়ে দেন কতটা গোলক্ষুধা তার।
আরও পড়ুন- উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন মাশরাফিরা
এদিকে লিড নেওয়ার পর প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকবারই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেসব কাজে লাগেনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ফের জ্বলে ওঠেন সাগরিকা। এবার তিনি করেন আরও ৩ গোল। সব মিলিয়ে তার ৪ গোলেই ৪-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে মাঠে ছাড়ে বাংলাদেশ। সাগরিকার এটি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন- যেখানে ভবিষ্যতের স্বপ্নরা গড়ে ওঠে, সেটাই আজ শোকস্তব্ধ- সাকিব
৫২ মিনিটে বক্সের সামনে নেপালের তিন ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরিকা। তবে তাঁকে শেষ পর্যন্ত আটকাতে পারেনি নেপালের ডিফেন্ডাররা। দারুণ এক গোলে ব্যবধানে দ্বিগুণ করেন তিনি। এর ৫ মিনিট পরই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সাগরিকা। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় গোল করেন তিনি। ৭৬ মিনিটে মুনকি আক্তারের পাস থেকে নিজের এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন বাংলাদেশি এই ফরোয়ার্ড।