ধর্ম ডেস্ক
১৫ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৪২ পিএম
স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলন বা সহবাস একটি সওয়াবের কাজ। ইসলামে এটিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা, শারীরিক মিলনের ফলেই পৃথিবীতে নতুন মানুষ আসে। যাদের মধ্যে থাকবে আল্লাহর ইবাদতকারীরা। হাদিসে প্রিয়নবী (স.) শয়তানের প্রভাব থেকে স্বামী-স্ত্রী ও অনাগত সন্তানকে বাঁচাতে সহবাসকালীন দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন।
দোয়াটি হলো— بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইতানা ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা মা রাজাকতানা।’ অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমাদের শয়তানের প্রভাব থেকে দূরে রাখুন এবং আমাদের যে সন্তান দান করবেন তাদের শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। (বুখারি: ১৪১, ৩২৭১)
আরও পড়ুন: স্ত্রীর বাসস্থানের ব্যাপারে ইসলামি নির্দেশনা
শয়তানের প্রভাবমুক্ত পরিবার গড়তে স্বামী-স্ত্রী মিলনের আগে প্রিয়নবী (স.)-এর শেখানো দোয়া পড়া জরুরি একটি বিষয়। হাদিসে এসেছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে তখন যেন উক্ত দোয়া পড়ে মিলিত হয়। এ মিলনের ফলে যদি তাদের কোনো সন্তান আসে, শয়তান সে সন্তানের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (বুখারি: ১৪১)
আরও পড়ুন: স্বামী কতদিন স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকতে পারবে?
স্বামী-স্ত্রী মিলনের আগে দোয়া পড়া কিংবা তা জেনে নেওয়া লজ্জার বিষয় নয়, বরং সুন্দর পরিবার গঠন ও বংশ বৃদ্ধির জন্য এটা একটা উত্তম পরিকল্পনা। কারণ এ কথা কেউ নিশ্চিতভাবে জানে না যে কোন মিলনে সন্তান জন্ম নেবে। তাই প্রত্যেক মিলনের আগেই স্বামী-স্ত্রীর এ দোয়া পড়ে নেওয়া উচিত। যাতে শয়তানের প্রভাবমুক্ত পরিবার গঠনে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব দম্পতিকে মিলনের আগে প্রিয়নবী (স.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে শয়তানের যাবতীয় ক্ষতি থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।