নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ আগস্ট ২০২২, ০৯:২৮ পিএম
মহানবী সা.কে রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষ নবী ঘোষণা এবং কাদিয়ানিদের (আহমদিয়া মুসলিম জামাত) অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আলেম-উলামা আবার রাজপথে নামলে ঢাকায় জায়গা হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হেফাজত মহাসচিব বলেন, আপনারা অনতিবিলম্বে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করুন। কারণ আমরা জানি আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিদেশি কোনো শক্তিকে পরোয়া করেন না। প্রধানমন্ত্রী, আপনি সাহস করে ঘোষণা দিয়ে দিন। দেশের ১৫ কোটি মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ ও প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন খতমে নবুওতের মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।
সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়ার সভাপতিত্বে এবং মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা এনামুল হক মূসা ও মুফতী আল-আমীন ফয়েজীর সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা মহিব্বুল হক গাছবাড়ী, মাওলানা মুফতী জসিমউদ্দীন, মাওলানা মুফতী ফোরকান আহমাদ, মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামীদি, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা শওকত সরকার, মাওলানা শাব্বির আহমাদ, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা শামছুল ইসলাম জিলানী, মাওলানা জাবের কাসেমী, মাওলান রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা মোহাম্মদ ফয়সাল, মুফতী শামছুল আলম, মুফতী মোবারক, মাওলানা ফরহাদ আলম, মাওলানা আব্দুল্লাহ নাটোরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কমেছে সন্ত্রাস, চ্যালেঞ্জ হেফাজত: ইউরোপীয় থিংকট্যাঙ্ক
হেফাজত মহাসচিব বলেন, হেফাজতে যে ১৩ দফা দাবি ছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো কাদিয়ানিদের রাষ্টীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা। এটা সব আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার দাবি। খতমে নবুওয়াত নিয়ে যারাই আন্দোলন করছেন তারা সবাই এ ব্যাপারে ঐক্যমত।
তিনি সরকারকে সচেতন করে বলেন, আলেমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে আবার মাঠে নামেন তাহলে ঢাকাতে জায়গা হবে না। তিনি প্রতিটি মসজিদে জুমার নামাজের আলোচনায় কাদিয়ানিদের বিষয়ে বক্তব্য রাখার জন্য ইমাম-খতিবদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া বলেন, কাদিয়ানিরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্র গড়ে গরির মুসলমানদের টার্গেট করে তাদের ধর্মহীন করে দিচ্ছে। আমরা যদি এখনই এ বিষয়ে সচেতন না হই, জনমনে সচেতনতা তৈরি না করি তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। না বুঝে অনেক সাধারণ মুসলমান বিপথে চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কওমি বোর্ডগুলোর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা স্থগিত
স্বাগত বক্তব্যে মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, অনতিবিলম্বে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানিরা এদেশে থাকতে পারে, কিন্তু মুসলমান পরিচয়ে নয়। হিন্দু-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধরা যেমন এদেশে নিজেদের ধর্মের পরিচয়ে বসবাস করছে, কাদিয়ানিরাও তেমন অমুসলিম পরিচয়ে থাকতে পারে। তাদের ধর্ম পরিচয় হবে, তারা কাদিয়ানি। মুসলিম নাম নিয়ে তাদের থাকতে দেওয়া হবে না। তাদের উপাসনালয়গুলোকে মসজিদ পরিচয় দেওয়া যাবে না। তাদের মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। ইসলামের নামে রচিত তাদের সব ধর্মগ্রন্থ নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের ছাপানো তথাকথিত কুরআন বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো-বিভাগগুলোতে সমাবেশ, ঢাকায় মহাসমাবেশ, সিরাত সম্মেলন, ইমাম-খতিবদের প্রশিক্ষণ প্রভৃতি।
জেবি