কওমি মাদরাসার শিক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত সভাটি স্থগিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে এই সভা হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. শামীম হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত সভাটি স্থগিত করা হলো।
বিজ্ঞাপন
গত ২৫ জুন বাংলাদেশ কওমি ধারার দ্বীনি শিক্ষা ও শিক্ষকের মান উন্নয়নকল্পে আটটি সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি দেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১০ আগস্ট একটি সভা ডাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই সভায় অংশ নিতে গত ৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কওমি মাদরাসার বোর্ডপ্রধানদের সভায় আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। উপসচিব মো. শামীম হাসান স্বাক্ষরিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, গত বছর (২০২১) ২৬, ২৭, ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সংঘটিত হয়। এ বিষয় অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে দেওয়া সুপারিশের আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং চলতি বছর গত ২৫ জুন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমিরের পাঠানো চিঠির সুপারিশের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
এ ঘটনার পরই তোলপাড় শুরু হয় কওমি অঙ্গনে। হেফাজতে ইসলামের আমির ও মহাসচিব গত শনিবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংগঠনের নায়েবে আমিরের এ চিঠির বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে জানান, এটি হেফাজতের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো চিঠি নয়। চিঠির বিষয়টি হেফাজতের কোনো ফোরামে আলোচনা করে তিনি পাঠাননি। এটি একান্তই তার ব্যক্তিগত। এর সাথে হেফাজতের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এছাড়া ওই দিনই বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন ছয় বোর্ডের কর্মকর্তারাও। তারা বৈঠক থেকে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের চিঠিকে এখতিয়ারবহির্ভূত বলে জানান। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে না যাওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়; যা ওই দিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে লিখিত আকারে জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
পরদিন রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছিলেন বোর্ডের অফিস ব্যবস্থাপক অছিউর রহমান।
এসএএস/জেবি