images

ইসলাম

সৎকাজের আদেশ ও অন্যায়ে বাধা দোয়া কবুলের অন্যতম শর্ত 

ধর্ম ডেস্ক

০৪ আগস্ট ২০২২, ০৭:৪৫ পিএম

ইসলামে দোয়ার গুরুত্ব অনেক। এটি নামাজ-রোজা-হজ-জাকাতের মতো আলাদা একটি ইবাদত এবং এর আলাদা ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে। তবে, দোয়া কবুলের কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন পানাহার-পরিধেয় পবিত্র (হালাল) হওয়া, দোয়াতে তাড়াহুড়ো না করা, আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা নিয়ে ঐকান্তিকভাবে দোয়া করা ইত্যাদি। কিন্তু দোয়া কবুলের আরেকটি পূর্বশর্ত সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। সেটি হলো- ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ে নিষেধ। 

আরও পড়ুন: রাতে যে নিয়মে দোয়া করলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না

মুসলিম সমাজের মানুষ যখন এই ইবাদত (ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ) পরিত্যাগ করবে, তখন আল্লাহ তাআলা খারাপ মানুষকে সেই সমাজের কর্ণধার বানিয়ে দেবেন। একইসঙ্গে ভালো ও নেককার মানুষের দোয়াও কবুল করবেন না। হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন—

‘যাঁর হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ করে বলছি—তোমরা অবশ্যই ভালো কাজে মানুষকে আদেশ দেবে এবং অবশ্যই অন্যায় থেকে নিষেধ করবে। যদি তা না করো তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর তাঁর পক্ষ থেকে শাস্তি প্রেরণ করবেন। এরপর তোমরা তাঁর নিকট প্রার্থনা করলেও তিনি কবুল করবেন না।’ (তিরমিজি: ৪/৪০৬, নম্বর: ২১৬৯, ভা-২/৪০) 

উল্লেখিত হাদিসের মান ‘হাসান’। তবে একই অর্থে আবু হুরায়রা (রা.), আয়েশা (রা.) ও অন্যান্য সাহাবি থেকে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (ইবনে মাজাহ: ২/১৩২৭; তাবারানি, আল মুজামুল আওসাত: ২/৯৯; মুসনাদে আহমদ: ৫/৩৯০; মাজমাউয যাওয়াইদ: ৭/২৬৬; রিয়াদুস সালেহিন পৃ-৯২-৯৭)

আরও পড়ুন: জীবনে তিনটি দোয়া বেশি পড়েছেন নবীজি

সুতরাং মুমিন মুসলমানের জন্য বাঞ্ছনীয় সৎকাজের আদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম সমাজকে খারাপ মানুষের কর্তৃত্ব থেকে হেফজত করুন এবং দোয়া কবুলের অন্যতম শর্ত সৎকাজের আদেশ ও অন্যায়কাজে বাধা দেওয়ার শক্তি, সাহস ও সামর্থ্য মুসলিম উম্মাহকে দান করুন। আমিন।