শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জীবনে তিনটি দোয়া বেশি পড়েছেন নবীজি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২২, ১২:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

জীবনে তিনটি দোয়া বেশি পড়েছেন নবীজি

দোয়া ইবাদতের মগজ। হাদিস অনুযায়ী, যে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই’ (ইবনু মাজাহ: ৩৮২৯)। প্রিয়নবী (স.) তাঁর জীবদ্দশায় দুটি এবং জীবনের শেষের দিকে আরেকটি দোয়া বেশি বেশি পড়েছেন। নিচে দোয়া তিনটি উল্লেখ করা হলো।

বেশি পঠিত দোয়া
আরবি: رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: রব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্। ওয়াকিনা আজাবান্নার।


বিজ্ঞাপন


অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাদের দুনিয়াতে সুখ-কল্যাণ দান করুন, আখেরাতেও সুখ-সমৃদ্ধি দান করুন এবং জাহান্নাম থেকে আমাদের রক্ষা করুন। (সুরা বাকারা: ২০১)

বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত কাতাদা (রহ.) আনাস (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, নবী কারিম (স.) কোন দোয়াটি বেশি পড়তেন? উত্তরে সাহাবি আনাস (রা.) এই দোয়ার কথা জানালেন। তাই আনাস (রা.) নিজে যখনই দোয়া করতেন- তখনই দোয়াতে এই আয়াত প্রার্থনারূপে পাঠ করতেন। এমনকি কেউ তার কাছে দোয়া চাইলে— তিনি তাকে এ দোয়া দিতেন। (সহিহ মুসলিম: ৭০১৬)

জীবনের শেষের দিকে বেশি পঠিত দোয়া
প্রিয়নবী (স.) ওফাতের আগের সময়টিতে ছোট্ট একটি দোয়া খুব বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি; আস্তাগফিরুল্লাহ; ওয়া আতুবু ইলাইহি।’

অর্থ: ‘আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি আর তাঁর কাছে তওবা করছি।’ 

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ স. (ওফাতের আগে) এই দোয়াটি অধিকমাত্রায় পড়তেন। (সহিহ মুসলিম: ১১১৬; রিয়াযুস সালেহিন: ১৮৮৬)

সর্বদা পঠিত দোয়া
তিরমিজির বর্ণনায় এক দোয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়, যেটি সর্বদা পাঠ করতেন নবীজি (স.)। 

আরবি: اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يَنْفَعُنِي حُبُّهُ عِنْدَكَ اللَّهُمَّ مَا رَزَقْتَنِي مِمَّا أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ قُوَّةً لِي فِيمَا تُحِبُّ اللَّهُمَّ وَمَا زَوَيْتَ عَنِّي مِمَّا أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ لِي فَرَاغًا فِيمَا تُحِبُّ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মার জুকনি হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাঁই ইয়ানফাউনি হুব্বুহু ইংদাকা, আল্লাহুম্মা মা রজাকতানি মিম্মা উহিব্বু ফাজআলহু কুওয়্যাতাল লি ফী-মা তুহিব্বু, আল্লাহুম্মা ওয়ামা জাওয়াইতা আন্নি মিম্মা উহিব্বু ফাজআলহু লি ফারাগান ফী-মা তুহিব্বু’।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাকে তোমার ভালোবাসা দান করো এবং ওই ব্যক্তির ভালোবাসাও দান করো যার ভালোবাসা তোমার কাছে আমার উপকারে আসবে। হে আল্লাহ! আমার প্রিয় জিনিসের মধ্য থেকে যা তুমি আমাকে দান করেছ এটিকে আমার শক্তিতে পরিণত করো—তুমি যা ভালোবাসো তা অর্জনের জন্য। হে আল্লাহ! আমার প্রিয় জিনিসের মধ্য থেকে যা তুমি আটকে রেখেছ, সেটি তুমি যা ভালোবাসো তা অর্জনের জন্য আমার সুযোগে পরিণত করো। (তিরমিজি: ৩৪৯১)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সবসময় আল্লাহ তাআলার কাছে উপরোক্ত দোয়া তিনটির ওপর বেশি বেশি আমল করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর