ধর্ম ডেস্ক
০১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
মুসলিম জীবনে দেখা-সাক্ষাৎ ও সম্পর্ক রক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর শিক্ষা অনুযায়ী সাক্ষাতের সময় কিছু সুন্নত পালন করলে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও ভালোবাসা লাভ করা যায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাক্ষাতের জন্য গেলে আল্লাহ তার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন...তিনি বলেন, আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসেন, যেমন তুমি তোমার ভাইকে তাঁর সন্তুষ্টির জন্য ভালোবেসেছ।’ (মুসলিম: ৬৪৪৩)
১. সালাম বিনিময়: সম্পর্কের প্রথম সেতুবন্ধন
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়।’ (আবু দাউদ: ৫২০০)
২. মুসাফাহা: হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টির মাধ্যম
সুন্নত পদ্ধতিতে করমর্দন করা। আনাস ইবনু মালিক (রা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সাক্ষাতে এসে মুসাফাহা (করমর্দন) করত, তখন সেই ব্যক্তি তার হাত টেনে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি নিজের হাত টেনে নিতেন না। আর সে তার চেহারা ফিরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি ওই ব্যক্তি থেকে নিজের চেহারা ফিরিয়ে নিতেন না। তিনি কখনো তাঁর পা দুটি তাঁর সামনে বসা লোকদের দিকে প্রসারিত করতেন না।’ (তিরমিজি: ২৪৯০)
আরও পড়ুন: সব মুসলমানের জন্য যেভাবে দোয়া করবেন
৩. হাসিমুখে কথা: ছোট্ট আমলে বড় সওয়াব
আবু জার (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) আমাকে বলেছেন, ভালো কোনোকিছু দান করাকে হীন মনে করে না, এমনকি হোক সেটা ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ দেওয়া।’ (মুসলিম: ৬৫৮৪)
৪. উত্তম কথা: সদকার সমতুল্য আমল
ভালো কথা বলা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- ‘ভালো কথাও সদকা।’ (বুখারি: ২৯৮৯)
আরও পড়ুন: মাথা নিচু করে পা ছুঁয়ে সালাম, ইসলাম কী বলে
ছোট্ট এই আমলগুলো আমাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নবীজির সুন্নত অনুযায়ী সাক্ষাত ও সম্পর্ক রক্ষার তাওফিক দান করুন। আমিন।