ধর্ম ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম
নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া ইমাম মুক্তাদি সবার জন্য ওয়াজিব। আর দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়া সুন্নত। এগুলো ইমামের মতো মুক্তাদিরও বুঝে শুনে তারতিলের সঙ্গে পড়া উচিত। এরপরও ইমামের আগে মুক্তাদির দোয়া-দরুদ শেষ হয়ে গেলে কোরআন-হাদিসের যেকোনো দোয়া পড়া যাবে। জানা না থাকলে اللهم إني ظلمت نفسي ظلما كثيرا ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী জলামতু নাফসী জুলমান কাসীরা’ এটি বারবার পড়ুন। একই দোয়া বারবার পড়তে কোনো বাধা নেই; বরং সুযোগ থাকলে তাই করা উচিত।
তবে, শুধু এই দোয়াই পড়তে হবে—এমন নয়। কোরআন-হাদিসের যেকোনো দোয়াই পড়া যাবে। যেমন এই দোয়াও পড়তে পারেন- اللهم إني أعوذبك من عذاب جهنم ومن عذاب القبر ومن فتنة المحيا والممات ومن شر فتنة المسيح الدجال উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম, ওয়ামিন আজাবিল কাবরি, ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাত, ওয়ামিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবর ও জাহান্নামের আজাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসিহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৮৮)
আরও পড়ুন: মুক্তাদির তাশাহুদ শেষ হওয়ার আগে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে করণীয় কী
চাইলে পবিত্র কোরআনের ছোট ছোট দোয়া পড়তে পারেন। যেমন- رَبَّنَا ظَلَمۡنَاۤ اَنۡفُسَنَا وَ اِنۡ لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَ تَرۡحَمۡنَا لَنَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ উচ্চারণ: ‘রব্বানা জলামনা আনফুসানা ওয়াইল্লাম তাগফিরলানা ওয়াতারাহামনা লানাকুনান্না মিনাল খ-সিরিন।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর জুলুম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ (সুরা আরাফ: ২৩)
অথবা- رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে সুখ দান কর, আখেরাতেও সুখ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।’ (সুরা বাকারা: ২০১)
আরও পড়ুন: জরুরি দোয়াগুলো জেনে নিন
অথবা- رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ উচ্চারণ: ‘রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা, বা’দা ইজ হাদাইতানা, ওয়া হাবলানা, মিন লাদুনকা রাহমা, ইন্নাকা আংতাল ওয়াহহাব।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের যে হেদায়াত দান করেছেন, তারপর আর আমাদের অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি করবেন না। আর একান্তভাবে আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি অসীম দানশীল।’ (সুরা আলে ইমরান: ৮)