ধর্ম ডেস্ক
২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
ইহরাম হজ ও ওমরার প্রথম রুকন। হজ ও ওমরার জন্য যারা মক্কার উদ্দেশে রওনা হন, তাদের মিকাত (নির্ধারিত স্থান) অতিক্রম করার আগে ইহরাম বাঁধা আবশ্যক। ইহরাম (اَلْاِحْرَامُ) শব্দটি হারাম (حَرَامٌ) শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো কোনো বিষয়কে নিজের ওপর হারাম বা নিষিদ্ধ করে নেওয়া।
ইহরামের মাধ্যমে নিজের ওপর স্ত্রী সহবাস, মাথার চুল, হাতের নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের ক্ষৌর কর্যাদি, সুগন্ধি ব্যবহার, সেলাই করা পোশাক পরিধান এবং শিকার করাসহ কিছু বিষয়কে হারাম করে নেওয়া হয়।
ইহরাম বাঁধার আগে খালি শরীরে আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মোস্তাহাব। শরীরের আতর ও ঘ্রাণ ইহরাম বাধারর পরে বাকি থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইহরাম গ্রহণের সময় তাঁর সর্বাধিক উত্তম সুগন্ধিটি ব্যবহার করতেন। তিনি বলেন, ইহরাম বাঁধার পর তাঁর শ্মশ্রু ও শির মোবারকে তেলের ঔজ্জ্বল্য দেখতে পেতাম।’ (মুসলিম: ১/৩৭৮)
আরও পড়ুন
ইহরাম বাঁধার নিয়ম ও কিছু ভুল-ভ্রান্তি
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
হজে গিয়ে সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে কি?
তবে, ইহরামের কাপড়ে আতর/সুগন্ধি লাগাবে না। কেননা ইহরামের কাপড়ে এভাবে আতর বা সুগন্ধি লাগানো নিষিদ্ধ যা ইহরামের পরও লেগে থাকে। (রদ্দুল মুহতার: ২/৪৮৯ গুনিয়াতুন নাসিক পৃ-৭০, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২২২ মানাসিক মোল্লা আলী কারি পৃ-৯৮)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজের মতো মহান ইবাদতের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার তাওফিক দান করুন। হজ-ওমরার সকল মাসয়ালা জানার ও মানার তাওফিক দান করুন। হাজিদের যাবতীয় ভুলভ্রান্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। আমিন।