ধর্ম ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম
আজানের জবাব দেওয়া অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল। আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছেন, তোমরা যখন মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে শুনবে, তখন সে যা বলে তাই বলবে। তারপর আমার ওপর দরুদ পাঠ করবে। কারণ যে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করেন। পরে আল্লাহর কাছে আমার জন্য ওসিলার দোয়া করবে। ওসিলা হলো জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কোনো এক বান্দাকে দেয়া হবে। আমি আশা করি যে, আমিই হব সেই বান্দা। যে আমার জন্য ওসিলার দোয়া করবে, তার জন্য আমার শাফাআত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (সহিহ মুসলিম: ৭৩৫)
আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো- মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। (সহিহ মুসলিম: ৩৮৫)
আরও পড়ুন
অনেক আজান শুনলে কোনটার জবাব দেবেন?
আজানের কোন দোয়া সহিহ হাদিসে আছে জানুন
আজানের পর দোয়া ও দরুদ পড়ার ফজিলত
ব্যস্ততার কারণে আজানের জবাব সঙ্গেসঙ্গে দিতে না পারলে কিছুক্ষণ পরে দেওয়ার অবকাশ রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, আজানের সাথে সাথে জবাব না দেওয়া হলে আজান শেষ হওয়ার পরপর বেশি বিলম্ব না করে আজানের জবাব দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আজানের জবাবে যে বাক্যগুলো বলা হয়, তখন সেগুলো নিজে নিজে বলে নেবে। আর যদি আজান শেষ হওয়ার পর বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে আর জবাব দেওয়ার নিয়ম নেই।
আজানের জবাব দেওয়া মোস্তাহাব। কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় আজান শুরু হলেও যথাসম্ভব কাজে বিরতি দিয়ে তখনই আজানের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। কেননা, আজানের জবাব দেওয়ার মূল সময় তখনই, যখন মুয়াজ্জিন আজানের শব্দগুলো বলেন।
(হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাদ্দুর: ১/১৮৮; তুহফাতুল মুহতাজ: ২/১১০; মিনহাতুল খালিক: ১/২৬০; রদ্দুল মুহতার: ১/৩৯৮)