images

ইসলাম

রেজাল্টের পর আত্মহত্যা, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

১৬ মে ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম

এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর আটজন পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এটা গণমাধ্যমে আসা খবর। প্রকৃত সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে। 

আত্মহত্যার মূল কারণ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। দ্বীনি দিক্ষা পাওয়া মানুষ হতাশ হতে পারে না। কারণ, তার ভরসার জায়গা আছে। পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী দুঃখ থেকে বাঁচতে সে জাহান্নামের আজাবে ঝাঁপ দিতে পারে না।

আরও পড়ুন: ৩ লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা শায়খ আহমাদুল্লাহর

পরীক্ষার পাশ-ফেলই সফলতা কিংবা বিফলতার মানদণ্ড নয়। অনেক ফেল করা ছাত্র কর্মজীবনে সফল হয়। আবার ঈর্ষণীয় রেজাল্টের পরও অনেকের কর্মজীবন সুখের হয় না। এর অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আছে। সামগ্রিক জীবনের তুলনায় পরীক্ষার রেজাল্ট বিশেষ বড় কোনো ঘটনা নয়।

আরও পড়ুন: সমাজ নষ্টের শুরু যেখান থেকে

আবার সন্তানদের আত্মহত্যার পেছনে অনেক বাবা-মারও দায় থাকে। নিজেদের অপূর্ণ স্বপ্নের বোঝা তারা এমনভাবে চাপিয়ে দেন সন্তানের কাঁধে, সেই ভার আর তারা বইতে পারে না। ফলে চক্ষুলজ্জায় তারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের চেয়ে বেশি জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের নৈতিক ও দ্বীনি চেতনা সমৃদ্ধ ভালো মানুষ বানাতে পারি, তবে এই ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। নয়তো এই সংখ্যাটা দিন দিন আরো বাড়তেই থাকবে।

শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পেজ থেকে