ধর্ম ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:০২ পিএম
পালিত কুকুর অনেক সময় জামা-কাপড় টেনে ধরে। কখনও গা ঘেঁষতে থাকে। জানার বিষয় হলো- কুকুরের শরীর কাপড়ে বা গায়ে লাগলে তা নাপাক হবে কি না, মুখ দিয়ে ধরলে ইসলামের বিধান কী?
এসব প্রশ্নের উত্তরে ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য হলো- কুকুরের শরীর নাপাক নয়। এর শরীরে কাপড়ে লাগলে তা নাপাক হবে না। তবে কুকুরের লালা নাপাক। এটি মুখ দিয়ে জামা টেনে ধরলে যদি কাপড়ে লালা লেগে যায়, কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। অন্যথায় নাপাক হবে না। এছাড়া কুকুরের শরীরে তরল নাপাক লেগে থাকলে সেক্ষেত্রেও তা স্পর্শ করলে কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। সুতরাং ওই অপবিত্রতা নিয়ে নামাজ পড়া যাবে না।
আরও পড়ুন: নিরুপায় হলে অপবিত্র কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে?
প্রকাশ থাকে যে, শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া কুকুর পালা কঠিন গুনাহের কাজ। শিকারের উদ্দেশ্যে, ফসল হেফাজতের উদ্দেশ্যে, পাহারাদারির জন্য, ছাগল-ভেড়া ইত্যাদির হেফাজতের লক্ষ্যে, ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারার জন্য, অপরাধের উৎস সন্ধান ও অপরাধীকে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালন বৈধ। (ফতোয়াতে মাহমুদিয়া: খ. ১৮, পৃ. ২৬৪/ ফতোয়ায়ে আলমগিরি: খ. ৪, পৃ. ২৪২)
আরও পড়ুন: সহবাস করলে পোশাক কি নাপাক হয়?
অন্যথায় কুকুর পালন বৈধ নয়। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পালে ওই ব্যক্তির প্রত্যেকদিন দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। (সহিহ মুসলিম: ১৫৭৫; জামে তিরমিজি: ১৪৮৭)
হাদিস অনুযায়ী, ‘এক কিরাত হলো উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৬৫০)
(তথ্যসূত্র: শরহুল মুনইয়াহ: ১৯৩; আলবাহরুর রায়েক: ১/১০১; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৪৮; আদ্দুররুল মুখতার: ১/২০৮)