images

ইসলাম

ব্যবসা হারাম-হালাল হওয়ার মূলনীতি

ধর্ম ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম

ব্যবসায় উপার্জন হালাল ও হারাম হওয়ার মূলনীতি হলো- ব্যবসার পণ্য ও পন্থা হালাল হলে ব্যবসা হালাল, সেই উপার্জনও হালাল। কিন্তু ব্যবসার পণ্য ও পন্থা হারাম হলে ব্যবসা হারাম, সেই উপার্জনও হারাম। এছাড়াও সন্দেহজনক পণ্য ও পন্থা ইসলামে কাম্য নয়।

রাসুল (স.) ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দুটির মাঝখানে আছে কিছু সন্দেহপূর্ণ বস্তু, যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব, যে ব্যক্তি এই সন্দেহপূর্ণ বিষয় থেকে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করবে এবং যে সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পতিত হবে সে হারামে পতিত হবে।’ (বুখারি: ২০৫১, মুসলিম: ১৫৯৯)

আরও পড়ুন: ইসলামে বেশি লাভে পণ্য বিক্রির শর্ত

তাই মুসলিম হিসেবে নিজেকে হারামের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও হারামের সহযোগী হওয়া থেকে বাঁচাতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড ইসলামি নীতির মধ্যে আছে কি না দেখতে হবে। কোনো অবৈধ বা অনৈসলামিক বিষয় নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান কায়কারবার করে কি না যাচাই করতে হবে। এমন অনেক বস্তু আছে, যার ব্যবসা ইসলামে অবৈধ। যেমন মৃত প্রাণীর ব্যবসা, শূকর বেচাকেনা, নেশাজাতীয় বস্তু, মূর্তি ইত্যাদি। এসব কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না, সহযোগী হওয়া যাবে না। সুদ বা জুলুম কিংবা অন্যকোনো ইসলামবিরোধী বিষয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক আছে কি না, সেটাও বিশেষভাবে বিবেচ্য।

আরও পড়ুন: ব্যবসায় সফল হতে নবীজির ৭ নির্দেশনা মানুন

আর অবশ্যই ঘুষ, প্রতারণা, মিথ্যা, ওজনে কম দেওয়া, ক্রেতাকে ঠকানো, অন্যের মালহরণ, কারো অধিকার খর্ব করা ইত্যাদি অন্যায় ছাড়াই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে এবং সততা ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে নিষ্ঠাবান হতে হবে। তাহলেই উপার্জন হালাল হবে।

এছাড়াও প্রচলিত আইনপরিপন্থী ব্যবসায় না জাড়ানো সৎ মুমিনের পরিচয়। আর যারা নতুন ও অজানা সোর্স থেকে বেশি লাভের আশা করেন, তারা নবীজির একটি সতর্কতা বিবেচনায় রেখে কাজে যুক্ত হবেন। সেটি হলো- ‘যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যে বিষয়ে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই তা গ্রহণ করো। যেহেতু সত্য হলো শান্তি-স্বস্তি আর মিথ্যা হলো দ্বিধা-সন্দেহ।’ (তিরমিজি: ২৫১৮)