images

ইসলাম

কেরাত আস্তের জায়গায় জোরে পড়লে করণীয়

ধর্ম ডেস্ক

১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজে ইমাম সাহেবকে কেরাত উঁচুস্বরে পড়তে হয়। জোহর ও আছর নামাজে কেরাত নিম্নস্বরে বা আস্তে পড়াই নিয়ম। আস্তে পড়া বলতে মাখরাজ আদায় করে জিহ্বা ও ঠোঁট নেড়ে ভালোভাবে উচ্চারণ করে অনুচ্চস্বরে পড়া। কেরাত আস্তের জায়গায় জোরে পড়লে সাহু সেজদা জরুরি হয়ে যায়।  

ইউনুস ইবনে উবাইদা (রহ) বলেন— عَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ سُئِلَ عَنِ الرَّجُلِ يَجْهَرُ فِيمَا لاَ يُجْهَرُ فِيهِ؟ قَالَ : يَسْجُدُ سَجْدَتَيَ السَّهْوَ ‘হাসান বসরি (রহ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো- কেউ অনুচ্চ-স্বরে কেরাতবিশিষ্ট নামাজে উচ্চৈঃস্বরে কেরাত পড়লে তার করণীয় কী? তিনি বললেন, সাহু সেজদা আদায় করে নেবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩৬৬৮)

আরও পড়ুন: ইমামের সঙ্গে মুক্তাদিকেও সব তাকবির বলতে হবে?

কিন্তু কেরাত আস্তের জায়গায় কতক্ষণ জোরে পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে? এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ কেরাত যদি ইমাম সাহেব এতটা উঁচু আওয়াজে পড়েন যে, পেছনের লোকজনও শুনতে পায়, তাহলে সাহু সেজদা ওয়াজিব হবে। একইভাবে উঁচুস্বরে কেরাতবিশিষ্ট নামাজে ইমাম সাহেব বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত আস্তে পড়লে সাহু সেজদা ওয়াজিব হবে। 

আরও পড়ুন: ইমামের আগে সেজদায় চলে গেলে নামাজ হবে?

এ হুকুম শুধু জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একাকী নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে কেরাত জোরে পড়ার জায়গায় আস্তেও পড়া যায়। যদিও উত্তম হলো জোরে পড়া। তবে নিম্নস্বরের নামাজ তথা জোহর ও আছর নামাজ একাকী পড়ার ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কেরাত আস্তে পড়া ওয়াজিব। 

অতএব, জামাতে নামাজে ইমাম সাহেব কেরাত বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ জোরে পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে। (রদ্দুল মুহতার: ১/৫৩৫; শরহুল মুনয়াহ: ৪৫৫-৪৫৬; আসসিআয়াহ: ২/২৬৯; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলা মারাকিল ফালাহ: ১২৩)