images

রাজনীতি

নৌকা নিয়ে পরাজিত ইনু বললেন ‘কারচুপিতে হেরেছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৪ পিএম

১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুষ্টিয়া-২ আসনে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন আনুষ্ঠানিকভাবে। বললেন, জনগণের ভোটে তিনি হারেননি, কারচুপির ভোটে তিনি হেরেছেন।

এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে যারা পরাজিত হয়েছেন এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন হাসানুল হক ইনু। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা কামারুল আরেফিনের কাছে পরাজিত হন তিনি। নির্বাচনের দুই দিন পর নিজের পরাজয় নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইনু।

আরও পড়ুন

ইনুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কাই বাস্তব হলো! 

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা জাসদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইনু বলেন, বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত সাংঘর্ষিক কারচুপির ঘটনা ছাড়া সারাদেশে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এই মতের সাথে আমি একমত। দ্বিতীয়ত আমি মনে করি যে, বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত যে কারচুপির ঘটনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার ভেতরে দুর্ভাগ্যজনক হলেও কুষ্টিয়া-২ আসন আমার এলাকার অন্তর্ভুক্ত। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মাস্তান বাহিনী ভোটের সাত দিন আগে থেকে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেটাও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।

কারচুপির বিবরণ দিয়ে ইনু বলেন, ভোটের দিন ১৬১ কেন্দ্রের ভেতরে ১৮টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট লক্ষ্য করা গেছে। যা কারচুপির মাধ্যমে করা হয়েছে। উপর্যুপরি প্রতিবাদ করার পরও, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পরও, কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারচুপি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমি মনে করি কুষ্টিয়া-২ আসনে আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি।

নির্বাচনের পরও তার নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই জোটসঙ্গী। তিনি বলেন, এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ বনাম জোটের শরিক দলের সাংঘর্ষিক অবস্থা এলাকায় থাকা উচিত না। এখানে যারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তারা বেশিরভাগ নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছে।

আরও পড়ুন

হারার পর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইনু 

তবে নির্বাচনের ঘটনা নিয়ে জোটের রাজনৈতিক বিষয়ে প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন হাসানুল হক ইনু। বলেন, জোটের রাজনৈতিক বিষয়ে আমরা সহমত, ঐক্যমতে আছি। জোটের শরিকদের ভেতরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক-বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অবশ্যই নিষ্পত্তি করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের জোটের যেসব প্রার্থীর এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীর গুন্ডা বাহিনীর আক্রমণ, হুমকি-ধমকি, অত্যাচার শুরু হয়েছে, এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জোটের অভ্যন্তরে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না।

জেবি