শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

হারার পর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

হারার পর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইনু
ফাইল ছবি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে একাদশ সংসদ পর্যন্ত টানা তিন দফায় ছিলেন কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য, ছিলেন মন্ত্রীও। দ্বাদশ নির্বাচনেও হয়েছিলেন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী। তবে নৌকা প্রতীক পেয়েও এবার পরাজিত হয়েছেন তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েই নিজ আসনে ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (৮ জানুয়ারি) একটি বেসরকারি টেলিভিশনবে দেওয়া নির্বাচনোত্তর সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, সারাদেশের নির্বাচনে জনগণের একটা অংশের অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে। সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে একটা বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে এই নির্বাচন করতে হয়েছে। সেদিক থেকে নির্বাচনী কাজটা নির্ঝঞ্জাটভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অন্য জায়গায় নির্বাচনটা কেমন হয়েছে তা বলার জন্য ব্যক্তিগতভাবে সরজমিনে তা দেখতে হবে। কিন্তু কুষ্টিয়া-২ আসনে যে নির্বাচন হলো, তা আমার কাছে খুবই পরিকল্পিত ভোটের কারচুপি। এখানে মস্তান ও কালোটাকার ছড়াছড়ি ছিল, সাথে প্রশাসনের নীরবতা। আমি মনেকরি, প্রশাসন পরিকল্পিত নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা আমার পরাজয়ের কারণ। এই আসনে প্রশাসনের রহস্যজনকভাবে নীরব ছিল। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত ও পরাজিত হয়েছি।

আরও পড়ুন

নির্বাচনে তার দল জাসদ একটিমাত্র আসনে জয় পেয়েছে। তিনিসহ পরাজিত হয়েছেন দলের অন্যান্য প্রার্থীরা। এ অবস্থায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে আলোচিত-সমালোচিত নেতা বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের নির্বাচনী বিজয় হয়েছে। তার ভিত্তিতে জোট নেত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে সরকার গঠন করবে। এটা রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। আমরা একে স্বাগত জানাই। কিন্তু দল কী করবে তা আলাপ আলোচনা করে ঠিক করবো।

মাত্র ভোট শেষ হলো, আমরা দলীয় ফোরাম বসবো। এরপর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো। রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এখনও ভাবিনি, যোগ করেন জাসদ।

এর আগে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া-২ আসনে। ভেড়ামারা এবং মিরপুর নিয়ে গঠিত ১৬১টি কেন্দ্রের সব কয়টির ফলাফলে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন ট্রাক প্রতীকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন। আর ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে হাসনুল হক ইনু পান ৮৯ হাজার ৪৭৯ ভোট। অর্থাৎ নৌকা প্রতীক নিয়েও ২৭ হাজার ৫৯৭ ভোট ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।

এমনকি নিজ উপজেলায়ও পরাজিত হন হাসানুল হক ইনু। ভেড়ামারার ৫০টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৫ ভোট। আর কামারুল আরেফিন পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৫৯ ভোট। অর্থাৎ ভেড়ামারা উপজেলায় ৬ হাজার ৭৯৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন ইনু।
 
অন্যদিকে মিরপুর উপজেলায় ১১১টি কেন্দ্রে হাসানুল হক ইনু পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৭১৪ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫১৭ ভোট।

এমএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর