নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৬ পিএম
চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন চৌধুরী নদভীর পক্ষে গণসংযোগের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নদভীর শ্যালকসহ অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন- নদভীর শ্যালক চরতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ররুহুল্লাহ চৌধুরী (৫০), সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক আবদুল মান্নান (৩৫), পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফেরদৌস রুবেল (৫৫) ও যুবলীগ নেতা কচির আহমদ কায়সার (৪৫) অন্যতম।
সাতকানিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চরতি ইউনিয়নের কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় গণসংযোগে হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তখন অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত ছিল। এর আগে যে ঘটনা, সেটার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে হামলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে আমার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে চরতির কাটাখালী এলাকায় গণসংযোগ চলছিল। এসময় লাঠিসোঠা নিয়ে ৪০-৫০ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহতদের রাতে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ডাক্তার আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী স্থানীয় লোকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। তার ভাইয়ের নানা অপকর্মে এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ ছিল। এজন্য তারা জনরোষের শিকার হয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী। জামায়াত ঘরানার নদভীকে দলে এনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথম মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ, যিনি মধ্যপ্রাচ্য লবির জন্য আগে থেকেই পরিচিত ও আলোচিত। ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার’ নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ তাকে দলে নিলেও দলটির পোড়খাওয়া অনেক নেতাকর্মীই তাকে মেনে নিতে পারেননি। একাংশের বিরোধিতার মধ্যেই নদভী ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আইকে/জেবি