images

রাজনীতি

আদালতে দেশ নিয়ে যে ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ দিলেন আব্বাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৪ পিএম

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নাশকতার মামলায় গ্রেফতার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে আদালতে বিচারকের অনুমতি নিয়ে বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রী দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বশূন্য করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে উঠানো হয় মির্জা আব্বাসকে। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ৫ দিনের রিমান্ডে

শুনানি চলাকালে মির্জা আব্বাস কথা বলতে চান। এ সময় বিচারকের অনুমতিক্রমে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। আমাদের মতো নেতাদের শেষ করে দেওয়া হবে। শুধু বিএনপিকে নয়, আওয়ামী লীগকেও নেতৃত্বশূন্য করে দিতে চায়। এক সময় দেশে নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী বলে দিলাম।’

মির্জা আব্বাস আদালতকে বলেন, ‘এক সময় আসবে যখন আর এদেশে নেতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ দেশে হিটলারে মতো সবাইকে শেষ করে দেওয়া হবে।’

Abbas3

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিছু কথা বলতে চাই। কখনোই কথা বলি না। আমার কোনো কথা কিছু মনে করবেন না। আমি ছোট্ট গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই। একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মানুষ জানতে চায় কী হয়েছিল সেখানে। তিনি উত্তরে বললেন, সেখানে আমার সাইডে লোহা দেখতে পাই।’

আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আব্বাস ও আলাল গ্রেফতার

আব্বাস বলেন, ‘আমি ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করি। বহু মিছিল করেছি। আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। বিএনপিকে আমি তৈরি করেছি অথবা বিএনপি আমাকে তৈরি করেছে। এর মধ্যে একবার শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে। এত বছরে এমন কোনো মামলা হয়েছে কি না তা দেখিনি।’

আদালতকে এ অবস্থায় বিবেক ও বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান সাবেক এই মন্ত্রী। 

গত শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। একজন যুবদল নেতা নিহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে। পরে সংঘর্ষের ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাইরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।

বিইউ/জেবি