রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্র ছিনতাই ও নাশকতার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে শুনানি চলাকালে বিচারকের অনুমতি নিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ থেকে নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। শুধু বিএনপিকে নয়, আওয়ামী লীগকেও নেতৃত্বশূন্য করতে চায়। একসময় দেশ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী বলে দিলাম।
আব্বাস বলেন, আমি ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করি। বহু মিছিল করেছি। আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এত বছরে এমন কোনো মামলা হয়েছে কি না তা দেখিনি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে মির্জা আব্বাসের বয়স ৫৭ বছর উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার বয়স ৭৪ বছর। তদন্ত কর্মকর্তা যেটা লিখেছেন সেটা ঠিক নয়।

বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আব্বাস ও আলাল গ্রেফতার
আত্মগোপনে থাকা বিএনপির এই শীর্ষ নেতাকে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বিকেলে তাকে আদালতে তুলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক নূর ইসলাম রিমান্ডের আবেদন করেন।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০-৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: কবে খুলবে নয়াপল্টনের তালা?
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এসময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
জেবি

