images

রাজনীতি

শক্তি জানান দিতে চায় আওয়ামী লীগও

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৮ এএম

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দুপুরে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির সমমনা দলগুলোও। ২৮ অক্টোবরের ঘটনাবহুল দিনে বিরোধী দলগুলো কর্মসূচি দেওয়ায় বসে নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও। বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে দুপুরে শান্তি সমাবেশ ডেকেছে দলটি। এই সমাবেশে নিজেদের শক্তির জানান দিতে চায় টানা দেড় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটি। এজন্য ‘শান্তি সমাবেশ’ ঘিরে নেতাকর্মীদের উল্লেখ্যযোগ্য উপস্থিতির প্রত্যাশা করছেন নেতারা।

শুক্রবার পল্টন থানায় জমা দেওয়া এক চিঠিতে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, শনিবারের সমাবেশে তাদের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি থাকছে দুই লাখ।

কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, তাদের লক্ষ্যের বাইরেও নেতাকর্মীরা উপস্থিত হবেন সমাবেশস্থলে। এই সমাবেশে তারা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি জানান দেবেন।

আরও পড়ুন

থমথমে ঢাকায় অজানা আতঙ্ক

২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থা কেটেছে আওয়ামী লীগের। এই দেড় দশকে বিএনপিকে মোকাবিলায় বেগ পেতে না হওয়ায় ক্ষমতাসীনদের রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন পড়েনি।

দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে রাজনীতি ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। করোনার কারণে অর্থনীতিতে সংকট বাড়তে থাকে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় লোডশেডিং। তার ওপর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। গ্যাস সংকটে উৎপাদন কমে গেছে শিল্পকারখানায়। এই সুযোগে মাঠে নেমেছে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি, যা ক্ষমতাসীনদের জন্য মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় তারাও রাজপথের দখল রাখতে মরিয়া। আওয়ামী লীগ যেকোনোভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথের দখল ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এরই অংশ হিসেবে আজ শান্তি সমাবেশে বড় শোডাউন করার প্রস্তুতি নিয়ে দলটি।

awami-1

আওয়া্মী লীগের এক নেতা বলেন, ‘বিএনপি নেতারা গরম বক্তব্য দিচ্ছেন, হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। পাশপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও রাজপথে সরকারবিরোধী কর্মসূচি পালন করছে। আওয়ামী লীগ এসবের জবাব দিতে চায়।’

এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মূল মঞ্চের সামনে ত্রিপল বিছিয়ে করা হয়েছে নারী কর্মীদের বসার জায়গা। আওয়ামী লীগের তিন নারী সংগঠন যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ এবং মহিলা শ্রমিক লীগের কর্মীরা বসবেন মঞ্চের সামনে। এরপর ছাত্রলীগের নারী নেত্রী, ছাত্রলীগের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ইউনিটগুলোর জন্যও বসার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে৷ এরপর থাকবেন পুরুষ নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন

সমাবেশের নগরী ঢাকা, যেসব স্পটে মাঠে নামবে রাজনৈতিক দল

সমাবেশস্থলে তাদের জন্য কোনো বসার জায়গা থাকছে না বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে আওয়ামী লীগের 'শান্তি সমাবেশ'।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেতাকর্মীদের আসতে বলা হয়েছে সকাল ১১টায়। আওয়ামী লীগের ঢাকার দুই মহানগরের অন্তর্গত সকল থানা ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন। একইসঙ্গে গাজীপুর, কেরাণীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জসহ আশপাশের জেলা এবং উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন এই সমাবেশে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে পাড়া-মহল্লায় অবস্থান নেবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

কারই/এমআর