নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারী ফয়সাল করিম মাসুদের সবশেষ অবস্থান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ‘ফয়সালকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সে যে দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাইনি। অনেক সময় অপরাধীদের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।’
হাদির মৃত্যুকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে, কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো স্পেসিফিক কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পাইনি। তবে সঠিক তথ্য পেতে চেষ্টা করছি।’
এসময় ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। এখানে ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকে আমরা মাঠে ছিলাম। সব এজেন্সি সমন্বিতভাবে কাজ করেছি। এটাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সবগুলো দিক দেখছি।’
এর আগে রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, হাদির হত্যাকারী ফয়সাল ও তার সহযোগী ভারতে পালিয়ে গেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সাক্ষাৎকারে ডিবি প্রধান দাবি করেন, গত আট দিনে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) হাদি হত্যা মামলার বিষয়ে ‘বেশ খানিকটা অগ্রগতি’ সাধন করতে সক্ষম হয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে কালভার্ট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি। এরপর তাকে প্রথমে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে একটি অপারেশনের পর নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে।
তবে এই হাসপাতালেও হাদির অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে তিন দিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মারা যান তিনি।
এরপর শুক্রবার (১৯ জুলাই) দেশে আনা হয় হাদির মরদেহ। রাখা হয় হাসপাতালের হিমঘরে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন এই জুলাই বিপ্লবীর জানাজায় অংশ নেয় ১০-১২ লাখ মানুষ। ওইদিনই হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়।
এএইচ