কীভাবে এত ফর্সা হলেন, জানালেন কাজল

তামাটে গায়ের রঙ, জোড়া ভ্রু, বাঁকা ঠোঁটের হাসি— কথাগুলো বলতেই কল্পনার চিত্রপটে ভেসে ওঠে বলিউড অভিনেত্রী কাজলের চেহারা। শ্যামবর্ণা এই অভিনেত্রীর রূপে মুগ্ধ হয়েছেন অগণিত দর্শক। তবে হঠাৎ করেই বদলে গেলেন তিনি। চেনা চেহারায় দেখা দিলো ছন্দপতন। গায়ের তামাটে রঙ চলে গেল অনেকটাই। 

কানাঘুষা শোনা যায়, অস্ত্রোপচার করে ত্বকের রং বদলে ফর্সা হয়েছেন অভিনেত্রী। চলে নানা কটাক্ষ। এবিষয়ে এতদিন কিছু বলেননি কাজল। এবার মুখ খুললেন তিনি। দিলেন গায়ের রঙ বদলের ব্যাখ্যা। 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যায় মুখ সবটাই কালো মুখোশে ঢাকা। তার ওপরেই সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কাজল। পরনে আছে নীল টি-শার্ট। দোকানের মধ্যে তোলা সেই ছবির উপর কাজল লিখেছেন, ‘তাদের জন্য, যারা রোজ জিজ্ঞেস করে, কীভাবে এত ফর্সা হলাম। এই ভাবে।’

ছবিটির মাধ্যমে অভিনেত্রী বোঝাতে চেয়েছেন এখন সূর্যকে পুরোপুরি দূরে রাখতে পারছেন, তাই ত্বক সুরক্ষিত। আগে তিনি রোদের মধ্যেই বেপরোয়া হয়ে ঘুরতেন, তাই ত্বক কালো হয়ে গিয়েছিল। তবে এই যুক্তিতে কতোটা সন্তুষ্ট হলেন অনুরাগীরা তা এখনও নিশ্চিত নয়। 

১৯৯৮ সালে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন কাজল। সেইসময়ও তার গায়ের রঙ শ্যামলা ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে ‘ফানা’ সিনেমায় কাজলকে দেখে অবাক হন অনেকে। ততদিনে গায়ের রঙ অনেকটাই বদলে গিয়েছে তার। 

নিজের গায়ের রঙ নিয়ে বরাবরই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কাজল। তাহলে হঠাৎ কেন হীনমন্যতায় ভুগলেন প্রিয় অভিনেত্রী? আগের রঙই যদি পছন্দ তবে কেন ফর্সা হতে গেলেন তিনি? এমন আক্ষেপের প্রশ্ন অনেকের। 

তাদের উদ্দেশ্যে কাজল বলেন, ‘আগে রোদে শুট করতাম, তাই ট্যানড হয়ে যেতাম। অনেক দিন হলো রোদ লাগাই না। তাই রং ফিরে এসেছে। এর বাইরে কিছুই নয়।'

এনএম