লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৫৫ এএম
লিওনেল মেসি (Lionel Messi), পায়ের জাদুতে যিনি মন কাড়েন কোটি কোটি ফুটবল অনুরাগীদের। বয়সকে থুড়ি মেরে এখনও মেসি মাঠে নেমে দৌড়ে যান দারুণ স্পৃহা নিয়ে। গোল করে হাসি ফোটান সমর্থকদের মুখে।
বয়স কেবল একটি সংখ্যা ৩৫ বছর বয়সী মেসির কাছে। তিনি জানেন নিজেকে ফিট রাখতে কী কী খাবার প্রয়োজন। মনে মনে হয়তো আপনি ভেবেছেন মেসির খাদ্যতালিকার কথা। কী খেয়ে নিজেকে সতেজ রাখেন এলএম ১০? চলুন জেনে নেওয়া যাক তার ফিটনেস রহস্য-
বর্তমানে খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকলে একসময় কিন্তু মেসি তা ছিলেন না। দৈনিক খাদ্যতালিকা নিয়ে অত্যন্ত অনিয়ম করতেন তিনি। জানা যায়, চিনি আর চর্বিযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার মাত্রাতিরিক্ত খেতেন এই খেলোয়াড়।
মেসির খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে তাকে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের অভ্যাস করান পেপ গুয়ার্দিওলা। কারণ চিকিৎসক অ্যাড্রিয়ান কোরমিলোট জানিয়েছিলেন, মেসির খাদ্যাভ্যাস ঠিক না থাকায় ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে তাকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এরপরই নিজেকে বদলে ফেলেন তিনি। খাদ্যাভ্যাসে আনেন পরিবর্তন। শুরু করে উচ্চমানের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
মেসির ডায়েটে থাকা খাবার দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে রয়েছে চিনি এবং অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার আর অন্যদিকে ফল, প্রোটিন ও লেগুমজাতীয় খাবার। সব খাবারই তিনি খান মেপে মেপে। বার্সেলোনার অফিসিয়াল সাইটে একবার লিওনেল মেসির প্রিয় খাবার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল ‘রোস্টেড চিকেন উইথ রুট ভেজিটেবলস’ এর নাম।
>> আরও পড়ুন: ফিট থাকতে কী খান রোনালদো
শরীর ঠিক রাখতে প্রচুর পানি পান করেন মেসি। তার খাবার রান্না করা হয় অলিভ অয়েল দিয়ে। খাদ্যতালিকায় রাখেন তাজা ফল, শাকসবজি এবং রুটিজাতীয় খাবার। আর্জেন্টাইন এই তারকা পছন্দের খাবারের তালিকায় রয়েছে দেশটির বিশেষ খাবার ‘মিলানেসা’। এই খাবারটি ব্রেডেড বিফ কাটলেট নামেও পরিচিত। দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের বিফ চাপের মতো।
>> আরও পড়ুন: খেলা দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্য যেন ‘অফসাইডে’ না যায়
ফিটনেস ধরে রাখতে মেসি রোজ সিউইড (এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল) খেয়ে থাকেন। রোনালদো, বেঞ্জামার মতো ফুটবলরাও এই খাবার খান। এতে রয়েছে স্পিরুলিনা নামক উপাদান। যার ৭০ শতাংশ প্রোটিন। এছাড়াও সিউইডে রয়েছে ভিটামিন এ, বি১, বি২, সি, ডি, ই ও কে এর উপকারি সব উপাদান। পাশাপাশি এতে ক্লোরেলাও রয়েছে। যার ৬০ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে। এই খাবারটি তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেসঙ্গে শরীর থেকে দূর করে টক্সিন।
এনএম