images

লাইফস্টাইল

তরুণ দম্পতিরাও সন্তান গ্রহণে সমস্যায় পড়ছেন কেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম

একসময় বলা হতো, বেশি বয়সে বিয়ে করলে সন্তান গ্রহণে সমস্যা হয়। বিশেষত যেসব নারীরা ৩০ এর পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তারা মা হতে নানা জটিলতায় ভোগেন। কিন্তু বয়সের এই সীমারেখা এখন উঠে গেছে। বর্তমানে ২০ এর মাঝামাঝি অর্থাৎ তরুণদের অনেকেও গর্ভধারনে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বন্ধ্যাত্ব কেবল বার্ধক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে বন্ধ্যাত্বের সমস্যার মুখোমুখি হয়।

SM515998

৩০ এর পরেই প্রজনন সমস্যা হয়—এমন যে ধারণা এতদিন চলে এসেছে তাকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন এই পরিসংখ্যান। কিন্তু কেন তরুণ দম্পতিরাও এমন সমস্যায় পড়ছেন? এর পেছনে দায়ী কে? 

তরুণ দম্পতিরা প্রজননজনিত সমস্যায় পড়ছেন কেন? 

প্রজননজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে অপরাধীর তালিকায় উপরের দিকেই আছে জীবনধারা। ভুল খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা, শারীরিক চর্চার অভাব, অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান, পরিবেশের দূষণের মতো বিষয়গুলো নারী ও পুরুষ উভয়েরই প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতিবন্ধকতা ডেকে আনছে।

SM553541

পাশাপাশি আধুনিক পরিবেশগত এক্সপোজার চাপের কারণ হতে পারে। এই যেমন, সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে দীর্ঘক্ষণ ধরে নির্দিষ্ট কিছু ডিভাইস ব্যবহারের ফলে শুক্রাণুর গুণমান কমার আশঙ্কা থাকে। 

এর প্রভাবগুলো ৩৫ বা ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করে না। যখন ধরা পড়ে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। নানা ডিভাইসের দীর্ঘ ব্যবহার নারীদের ডিম্বানুর মান কমাচ্ছে, পুরুষের শুক্রাণুর স্বাস্থ্য হ্রাস করছে। ব্যাপারগুলো নীরবে হয় বলে বেশিরভাগ দম্পতিরা বুঝতে পারেন না যে কোনো সমস্যা হয়েছে।

SM891849

নারীদের ডিম্বাণুর সংখ্যা নির্দিষ্ট  

জৈবিকভাবে প্রতিটি নারী একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বাণু (অ-বর্ধনশীল ফলিকল বা NGF) নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। একটি বহুল উল্লেখিত মডেল অনুমান করে যে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে অনেক নারীই তাদের সর্বাধিক প্রসবপূর্ব NGF কাউন্টের মাত্র ১০-১৫% ধরে রাখেন।

আরও পড়ুন- 
 
 
 

সুতরাং, বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে এখনও রয়ে গেছে। তবে এটিই একমাত্র কারণ নয়। জীবনধারা আর পরিবেশগত চাপের কারণে ৩০ এর আগেই ডিম্বাণুর রিজার্ভ হ্রাস পেতে পারে। 

SM670405

সন্তানধারণ প্রক্রিয়া সহজ করতে জীবনধারায় পরিবর্তন আনার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, কম মানসিক চাপ, গ্যাজেটের কম ব্যবহারই পারে এই প্রক্রিয়াটিকে অধিক সহজ করতে। 

এনএম