লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৪ জুন ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
বর্তমানে মানুষের জীবনযাপনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফলে বেড়েছে অনেক স্বাস্থ্য জটিলতাও। অনেক মানুষ এখন আক্রান্ত হচ্ছে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগে। লিভারজনিত কোনো রোগের কথা বললেই প্রথমে উঠে আসে ধূমপানের কথা। এই অভ্যাসটি স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে। তবে কি ধূমপান না করলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হবে না?
এই ধারণা ভুল। ধূমপান না করলেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে। এর অন্যতম কারণ বাইরের খাবার। বর্তমানে মুখোরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সেসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকির।

কোন খাবারগুলো ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাতে প্রথমেই চিনি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এমনকি কৃত্রিম চিনিও খাওয়া চলবে না। লিভার সংক্রান্ত সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে চিনি কে না বলুন। সেসঙ্গে চিনি আছে এমন খাবার খাওয়াও বন্ধ করতে হবে। সফট ড্রিঙ্ক, অত্যধিক মিষ্টি দেওয়া হেলথ ড্রিঙ্ক, এনার্জি ড্রিঙ্ক, প্যাকেটজাত ফলের রসে চিনির মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকে। এসব খাবার যত কম খাবেন ততই ভালো।

বিনা তেলে রান্না করা সম্ভব নয়। কিছুটা তেল শরীরের জন্য ভালোও বটে। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না, কোলেস্টেরলের নেপথ্যে রয়েছে এই তেলই। তাই তেল খান তবে পরিমিত পরিমাণে।
আরও পড়ুন-
কিছু বীজ থেকে তৈরি তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। বেশিরভাগ মানুষ সয়াবিন বা সরিষার তেল দিয়ে রান্না করেন। কেউ কেউ আবার রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেন। কেউ রাঁধেন সূর্যমুখীর তেল কিংবা ভুট্টার তেল দিয়ে। এছাড়া ক্যানোলা বা রেপসিডের তেলও ব্যবহার করা হয়। এসব তেল শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

ছোট হোক কিংবা বড়— ব্যথা সারাতে অনেকেই পেইনকিলার খান। এসব ওষুধ সাময়িক ব্যথা কমালেও দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতি করে। প্যারাসিটামল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের ক্ষতি করে।
অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। এই অভ্যাসের কারণে লিভারের জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বেদনানাশক ওষুধ খাবেন না।
এনএম