লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৮ জুন ২০২৫, ১২:২২ পিএম
একসময় বাতের ব্যথা বয়স্কদের মধ্যে দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে কমবয়সীরাও এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর্থ্রারাইটিসের একটি ধরন হলো গাউট। এটি এক ধরনের প্রদাহজনিত বাত। ইংরেজিতে একে ‘ইনফ্লেমেটারি আর্থ্রারাইটিস’ বলা হয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে এই সমস্যা হয়।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আর্থ্রারাইটিস অ্যান্ড মাস্কিউলোস্কেলিটাল ডিজিজ গাউটের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে, গাউট বা গেঁটে বাত তখনই হয়, যখন শরীরের বিভিন্ন অংশে ইউরিক অ্যাসিডে থাকা ইউরেট নামক এক ধরনের লবণ সরু স্ফটিকের আকারে জমা হতে থাকে।

এই ধরনের ইউরেটের স্ফটিক জমা হয় মূলত অস্থিসন্ধির চারপাশেই। তা থেকে গাঁট বা অস্থিসন্ধির চারপাশে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। যা থেকে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
গাউটের সমস্যা হলে পায়ের পাতার বুড়ো আঙুলের অস্থিসন্ধি ফুলে যেতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে মারাত্মক ব্যথা। পাশাপাশি, অন্যান্য অস্থিসন্ধিতেও যন্ত্রণা হতে পারে। তবে, গাউটের সমস্যা পায়েই হয় বেশি।

ইউরিক অ্যাসিড থেকে হওয়া এই সমস্যা আগে থেকে সতর্ক থাকলে আটকানো সম্ভব। এনআইএএমএস এর তথ্য অনুযায়ী, ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করলেই যে শরীরে গেঁটে বাত দেখা দেবে তা নয়। অনেক সময় দীর্ঘ দিন ধরে জমতে জমতে এই সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগে থেকে জানা গেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি- যেমন হাত ও পায়ের গাঁটে কিংবা হাঁটুতে ব্যথা হতে থাকলে এবং তা সহজে না কমলে পরীক্ষা করে দেখা উচিত। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে এমনটা হয়।

প্রস্রাবের রঙ অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে ঘোলাটে অথবা গাঢ় রঙের প্রস্রাব হতে পারে।
আরও পড়ুন-
ইউরিক অ্যাসিড জমতে পারে কিডনিতেও। কোমর ব্যথা, পেট অথবা পিঠের দু’পাশে ব্যথা, পেটে ব্যথা হলে সাবধান হোন। এই ধরনের ব্যথা কিডনি স্টোনের কারণেও হতে পারে। আর কিডনিতে পাথর জমার কারণে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেলে দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। যা থেকে কিডনি অচল হয়ে যেতে পারে। রক্তজালিকাগুলো নষ্ট হতে পারে। এমনকি, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে জ্বরও আসতে পারে। টানা ক্লান্তিবোধও ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ত্বকে খসখসে ভাব দেখা দিতে পারে. প্রদাহের কারণে ত্বকে জ্বালা ভাব, র্যাশ, চামড়া উঠে আসা, চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এনএম