দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল হিসাবে জমে। তখন গাঁটে গাঁটে অসহ্য ব্যথা-যন্ত্রণা হয়। এমনকী জয়েন্ট ফুলে ওঠে। বিশ্বব্যাপী ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। তাই সকলকেই এই রোগ নিয়ে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের খাদ্যতালিকায় কিছু পিউরিন যুক্ত খাবার রয়েছে। এইসব খাবার শরীরে পৌঁছে যাওয়ার পর দেহে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। আর এই প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভালো যে, প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরেই কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে। শুধু তা বিপদ সীমার উপরে গেলেই চিন্তার।
বিজ্ঞাপন
তবে ভালো খবর হল, কিছু প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করেই ইউরিক অ্যাসিডের প্রকোপ কমানো সম্ভব হবে। এমনকী এই সকল ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলে আপনার ওষুধের উপর নির্ভরতাও কমবে। তাই আর দেরি না করে এইসব ‘হোম রেমেডিজ’ সম্পর্কে জেনে নিন।
১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতেই হবে। দেহে পানির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হলেই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। ফলে ব্যথা, ফোলা কমতে সময় লাগবে না। তাই তো দৈনিক ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। এই কাজটুকু করতে পারলেই হাতেনাতে মিলবে সুফল।
২. ওজন কমান
বিজ্ঞাপন
ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে ধরে রাখতে পারলে অনায়াসে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে অনায়াসে বাগে আনা যাবে। অপরদিকে ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকে, তাহলে এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গাঁটে গাঁটে ব্য়থার মারে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তাই সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে ওজনকে যত দ্রুত সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। এতেই সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
৩. মদ্যপান পরিহার করুন
মদের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে গোটা একটা বই লেখা হয়ে যাবে। এমনকি ইউরিক অ্যাসিডকে বিপদ সীমার উপর নিয়ে যেতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই নিয়মিত মদ্যপান করার বদভ্যাস থাকলে আজই ছাড়ুন।
৪. কফি পানি করুন
কফিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন। সেই সঙ্গে এই পানীয়ে বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও খোঁজ মেলে। এই দুই উপাদানের যুগলবন্দিতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক থাকতে বাধ্য় হয়। তাই আজ থেকেই নিয়ম করে দিনে ২ কাপ কফি পান করুন। আশা করছি, এতেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে। এমনকী ব্যথা, বেদনাও আর সইতে হবে না। তাই শুভ কাজে আর দেরি কেন!
৫. সমস্যা মেটাবে ভিটামিন সি
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার পাতে রাখতে পারলেই ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যাকে হেলায় হারিয়ে দেওয়া যায়। তাই প্রতিদিন নিজের পছন্দ মতো একটা করে লেবু খাওয়া মাস্ট। এছাড়া আপেল, পেয়ারা এবং আমলকীর মতো ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেলেও ইউরিক অ্যাসিডের খেলা শেষ হয়ে যাবে। তাই এই রোগ নিয়ে আর অহেতুক দুশ্চিন্তা করে রাতের ঘুম লাটে তুলবেন না।
এজেড

