লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৬ জুন ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
গরমকালে বাতাস, প্রচণ্ড রোদ আর তাপমাত্রার আধিক্য প্রভাব ফেলে শরীরে। এসময় শরীরে পানির অভাব হয় যার কারণে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে মাথাব্যথা অন্যতম। চিকিৎসার পরিভাষায় একে তাপজনিত মাথাব্যথা বলা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রচণ্ড তাপ ও নিম্ন বায়ুচাপের কারণে মাথাব্যথার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়। গরমে কেন মাথাব্যথা বাড়ে, এটি কীভাবে কমানো যায়? চলুন জেনে নিই-


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মে মাথাব্যথার পাশাপাশি মুখ ও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা এবং মাথা ঘোরার মতো অন্যান্য সমস্যাও দেখা দেয়।
হিট স্ট্রোক একটি গুরুতর অবস্থা। এই স্বাস্থ্য সমস্যা হলে শরীরের তাপমাত্রা ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বেড়ে যায় এবং তীব্র মাথাব্যথা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। এটি একটি জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সাধারণত মাইগ্রেনের কারণে মাথার একপাশে তীব্র ব্যথা হয়। ফলে শব্দ ও আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং বমি বমি ভাবও হতে পারে। অন্যদিকে তাপজনিত মাথাব্যথা প্রচণ্ড তাপ, পানির অভাব কিংবা উচ্চ তাপমাত্রার কারণে হয়। এসময় পুরো মাথায় ব্যথা, মাথায় ভারী ভাব বা ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন-
মাইগ্রেন একটি স্নায়বিক সমস্যা হলেও, তাপজনিত মাথাব্যথা আবহাওয়া এবং বাহ্যিক অবস্থার কারণে হয়। দুটোর চিকিৎসা ও প্রতিরোধের পদ্ধতিও ভিন্ন।

শিশু ও বয়স্ক উভয়েরই তাপ এবং পানির অভাব বা ডিহাইড্রেশন সহ্য করার ক্ষমতা কম থাকে। তাই তাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মাথাব্যথার সাথে সাথে বিরক্তি, অলসতা, কান্নাকাটি এবং ক্ষুধার অভাবের মতো লক্ষণ দেখা যায়।
আরও পড়ুন-
অন্যদিকে, বয়স্কদের মধ্যে অতিরিক্ত ঘাম, দুর্বলতা এবং মাথায় ভারী ভাবের মতো লক্ষণ দেখা যায়। মাথাব্যথা এড়াতে প্রচুর পানি পান করা উচিত। দুপুরের দিকে একেবারেই রোদে বের হওয়া উচিত নয়।

গরমে মাথাব্যথা থেকে দূরে থাকতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। লেবুর শরবত বা ডাবের পানি পান করুন। এসব পানীয় শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি দূর করে এবং ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি দেয়।
তীব্র রোদের কারণে যদি মাথাব্যথা হয়, তাহলে ঠান্ডা এবং বাতাসযুক্ত জায়গায় যান। কপালে ভেজা তোয়ালে বা বরফের টুকরো রাখুন। এটি মাথাব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

মাথাব্যথার সমস্যা থাকলে শান্ত ও ঠান্ডা স্থানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে, প্রতি ঘন্টায় অল্প অল্প করে পানি পান করুন।
খাদ্যতালিকায় রাখুন শসা, তরমুজ, সালাদ এবং মৌসুমি ফল এবং শাকসবজি। এগুলো শরীর ঠান্ডা রাখে।

এর পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ভালো ও গভীরভাবে ঘুমানো জরুরি। কারণ ঘুমের অভাবে অনেকসময় মাথাব্যথা করে।
প্রচণ্ড মাথাব্যথা হলে অবিলম্বে ঠান্ডা জায়গায় যান এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে পানি পান করতে থাকুন এবং কপালে ঠান্ডা তোয়ালে বা রুমাল রাখুন। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।