মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

মাথাব্যথা হলে কি প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

মাথাব্যথা হলে কি প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত? 

মাথাব্যথা হলেই বেশিরভাগ লোকই অ্যাসপিরিন বা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খান, এতেও কিছুক্ষণের জন্য আরাম পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটামল খাওয়া কতটা সঠিক? এ ছাড়া মাথাব্যথার সেরা ওষুধ কী হতে পারে? জেনে নিন ডাক্তারের কাছ থেকে৷

বেশিরভাগ মানুষই মাথাব্যথা হলে অ্যাসপিরিন বা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে থাকেন। এতে কিছুক্ষণের জন্য আরাম হয়ত পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মাথাব্যথা হলেই প্যারাসিটামল খাওয়া কতটা সঠিক? চলুন জেনে নিই ডাক্তারের বক্তব্য-  


বিজ্ঞাপন


headache2

নিউ দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের প্রিভেন্টিভ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডা. সোনিয়া রাওয়াতের মতে, মাথাব্যাথা হলে প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন খেতে পারেন। এই তিনটিই নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ। এদের বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে।

এসব ওষুধ ভালো ব্যথানাশক হিসাবে বিবেচিত। এবং সেই কারণেই এই ওষুধগুলো গ্রহণ করলে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মানসিক চাপের কারণে মাথাব্যথা হলে আপনি এসব ওষুধ খেতে পারেন। 

headache3


বিজ্ঞাপন


এই চিকিৎসকের মতে, বেশিরভাগ রোগীকে মাথাব্যথার ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কেননা এটি জ্বর এবং শরীরের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। এই ওষুধটি অন্য দুটি ওষুধের তুলনায় পাকস্থলীর জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

যদি কোনো ব্যক্তির ঘনঘন মাথাব্যথা হয় এবং অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হঠাৎ প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি, শরীরের কোনো অংশে ঝাঁকুনি, জ্বর, বমি বা ঝাপসা দৃষ্টির ক্ষেত্রে স্ব-চিকিৎসা করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

headache4

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, সংক্রমণ বা অন্যান্য গুরুতর রোগে ভুগছেন তাদের মাথাব্যথার ক্ষেত্রে পাল্টা ওষুধ গ্রহণ করা এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরনের ব্যক্তিদের সবসময় ডাক্তারের পরামর্শের পরে ওষুধ খাওয়া উচিত।

প্রতিটি রোগীর শারীরিক অবস্থা ও ধরন আলাদা হয়, যার কারণে ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করার পরেই ওষুধ দেন। মাথাব্যথাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। বরং সমস্যা গুরুতর হলে পরীক্ষা করা উচিত। অনেকসময় এটি বড় কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে কাজ করে এবং বাড়িয়ে দিতে পারে মৃত্যুর ঝুঁকিও। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর