লাইফস্টাইল ডেস্ক
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মানুষ যখন একটি সম্পর্কে থাকার পরও অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন তাকে পরকীয়া বলে। সম্পর্কে বিকল্পের খোঁজ কিংবা একঘেয়েমি মানুষকে পরকীয়ার দিকে টেনে নেয়। এক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন নারীরা। এমনটাই বলছে সমীক্ষা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ১০ জনের মধ্যে ৭ জন নারী স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কারণ স্বামীর ঘরোয়া কাজে অংশ নেন না। বেশিরভাগ নারীই সম্পর্কে সুখী ছিলেন না। একেঘেয়ে হয়ে গিয়েছিল সব। এমনই যুক্তি দেখিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশ নারী। ২০১৯ সালে একটি এক্সট্রা-ম্যারিটাল ডেটিং অ্যাপের সমীক্ষার ফলাফল ছিল এটি।

বর্তমানে নারীরা কেন পরকীয়ায় জড়াচ্ছেন?
২০২৪ সালের এক সমীক্ষায় এসম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সম্প্রতি, ফ্লোরিডার একটি সমাজসেবী সংস্থার মালিক পিয়াজা জেনিফার নারীদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কিংবা পরকীয়া করার প্রবণতা কেন এত বেড়ে গিয়েছে, তার কারণ জানতে একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক নারীই নিজেদের পরকীয়ায় আগ্রহ নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, অনুভূতিকে আটকানো যায় না। কখন কাকে ভালো লেগে যায়, কার সঙ্গে থাকতে মন চায়, সেটি বোঝা যায় না। তাই পরকীয়া হয়েই যায়।

বহু বছরের সম্পর্ক থাকতে থাকতে মরচে পড়ে যায়। একঘেয়ে লাগে সবকিছু। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া নারীরা এ প্রসঙ্গে বলছেন, দীর্ঘদিন একই ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি লাগে। তাই ওই অনুভূতিটাকে নতুন করে নেওয়ার জন্য পরকীয়া আর কি। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই একাধিক পুরুষ সঙ্গীতে খুশি এসব নারীরা।
আরও পড়ুন- যেসব লক্ষণে বুঝবেন স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত
শুরুটা ‘মাইক্রো চিটিং’ দিয়ে
সোশ্যাল মিডিয়ায় ডেটিং অ্যাপের ছড়াছড়ি। হাতে আছে স্মার্টফোন। সময় কাটাতে আর মনে জমা সুপ্ত প্রেমকে জাগানোর আকাঙ্ক্ষা তো আছেই। ব্যাস, শুরু হয় ফ্লার্টিং তারপর বন্ধুত্ব। কিছুদিন যেতেই বন্ধু হয়ে ওঠে কাছের মানুষ। নতুন করে ভালোবাসা দোলা দেয় মনে। আর তার কারণে সংসার ছেড়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন নারীরা। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে মাইক্রো চিটিং।

কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় জেনে-বুঝে কেউ যখন অন্য একজনের এত কাছাকাছি চলে আসে যে তার সাথে জীবনের ছোট-বড় সব বিষয়ে আলোচনা করে তাহলে তাকে মাইক্রো চিটিং বলা হয়। ক্ষুদ্র প্রতারণার কারণে গড়ে ওঠা এই সম্পর্কটি মানসিক বন্ধন থেকে একসময় শারীরিক সম্পর্কের দিকে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়তে থাকে আসল সম্পর্কে। আর এই পথেই হাঁটছেন নারী আর পুরুষ উভয়েই।
এনএম