লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২০ পিএম
বাঙালি মানেই মাছের সঙ্গে অন্যরকম প্রেম। এজন্যই তো বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পাতে মাছ থাকলে পুরো খাবারটাই জমে যায়। ভাজা, ভুনা কিংবা তরকারি হরেকরকমে খাওয়া হয় এটি। দুপুরে আয়েশ করে মাছের ঝোল খেলেও রাতে মাছ খেতে নিষেধ করেন অনেকেই। কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন- হঠাৎ শরীরের মাংস লাফায় কেন?
অনেকসময় চিকিৎসকরাও রাতে মাছ খেতে মানা করেন। এর পেছনে কারণও রয়েছে। চলুন জানা যাক-

প্রাচীনকালেও রাতে মাছ খাওয়া নিষেধ ছিল। তখন অবশ্যই কুসংস্কারের মতো এটি পালন করা হতো। এই প্রথার নেপথ্যে ছিল বৈজ্ঞানিক কারণ। সেসময় বৈদ্যুতিক আলো ছিল না। এদিকে, লন্ঠনের টিমটিমে আলোয় রাতে মাছের কাঁটা ভালভাবে বাছা যেত না! তাই বাড়ির বড়রা সূর্য ডোবার পর মাছ খেতে বারণ করতেন।
আরও পড়ুন- পাকা আম খেলে ঘুম আসে কেন?
এবার আশা যাক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায়। মাছ একটি হাই-প্রোটিনযুক্ত খাবার। এজন্য এটি হজম হতে বেশি সময় লাগে। বিশেষত তা যদি বড় মাছ হয়। মাছের তেল হজম হতেও অনেকক্ষণ সময় লাগে। আর খাবার হজম না হলে শুরু হয় অস্বস্তি। এজন্যই রাতে মাছ খেতে মানা করেন চিকিৎসকরা।

দুপুরে মাছ খেলে হজমের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। তাই কোনো শারীরিক সমস্যা হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাহলে রাতে কী খাবেন?
আরও পড়ুন- সোনার এত দাম কেন?
চেষ্টা করবেন, রাতে নিরামিষ খেতে। অনেকেই ভাবেন মাছ, মাংস কিংবা ডিম বাদে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পায় না। এই ধারনা পুরোপুরি ঠিক নয়। বরং চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘদিন নীরোগ থাকতে নিরামিষ আহারের বিকল্প নেই। তাই একবেলা নিরামিষ খাবার খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
এনএম