images

লাইফস্টাইল

কর্মক্ষেত্র আর দাম্পত্য জীবনে ভারসাম্য রাখতে করণীয় 

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০১ পিএম

একদিকে কর্মক্ষেত্র আরেকদিকে ব্যক্তিগত জীবন। দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবুও একদিক সামলাতে গেলে অন্যদিকে সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিযোগিতার বাজারে কর্মক্ষেত্র ঠিক রেখে সুন্দর দাম্পত্য জীবন কাটানোই যে এই প্রজন্মের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

কর্মব্যস্ততা, পারিবারিক দায়-দায়িত্বের চাপে অনেক সময় ভাঁটা পড়ে ব্যক্তিগত জীবন। কখনো কখনো তা পরস্পর-বিরোধীও হয়ে উঠতে পারে। তবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাইলে পেশাগত জীবন আর ব্যক্তিগত জীবনের মাঝে অবশ্যই একটি অদৃশ্য বিভাজনরেখা টানতে হবে। এই দুটি ক্ষেত্র যেন কোনোভাবেই পরস্পরের সীমা লঙ্ঘন না করে সেদিকে নজর দিতে হবে। 

work

অনেকে ভীষণ কাজ পাগল হন। পেশায় মগ্ন হয়ে আলাদা হয়ে যান পরিবার থেকে। আবার অন্যদিকে পরিবার, সম্পর্কের মূল্য দিতে গিয়ে অনেকে ইতি টানেন কর্মজীবনের। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মজীবী হলে এই সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। 

মনোবিদরে বলছেন, কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন আলাদা করে নয় বরং এই দুইয়ের সমন্বয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা তৈরি করতে পারাই দম্পতিদের জন্যে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তার জন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি- 

relation1

একান্ত সময় 

যত কাজ বা ব্যস্ততাই থাকুক, দিনের শেষে নিজেদের জন্যে কিছুটা একান্ত সময় বের করতেই হবে। একসঙ্গে সিনেমা দেখা, বই পড়া কিংবা গান শোনার মতো কাজগুলো করতে পারে। আবার সাধারণ কিছু বিষয় কিংবা বাড়ির দৈনন্দিন নিয়ে আলোচনাও করতে পারেন। নিজেদের মধ্যে কথা বললে সম্পর্কের বাঁধন মজবুত হয়। 

অফিসের কাজ বাড়িতে নয় 

পেশাগত ঝামেলায় নাজেহাল স্বামী-স্ত্রী দুজন। আর তাই বাড়ি ফিরে আলাদা ঘরে ল্যাপটপ বা মোবাইলে মুখ গুঁজে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছেন। এতে হয়তো পেশাদার সুনাম অর্জন করতে পারবেন কিন্তু হারাবে দাম্পত্য জীবনের সুখ। কর্মক্ষেত্রের সমস্যা বাড়ি পর্যন্ত টেনে না আনাই ভালো। 

couple

গ্যাজেট নয়, নিজেদের সময় দিন 

একসঙ্গে থাকা মানে কিন্তু এক ঘরে যে যার মতো থাকা হয়। হয়তো একজন ল্যাপটপে সিরিজ দেখছেন, আরেকজন ফোনে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলায় ব্যস্ত। এতে কিন্তু এক ঘরে থাকলেও নিজেদের সময় দেওয়া হচ্ছে না। মনোবিদরা মনে করেন, কাজ থেকে ফেরার পর ফোন, ল্যাপটপ দূরে রেখে নিজেদের মধ্যে সময় কাটানো জরুরি। 

কাজের সময় যেমন ব্যক্তিজীবনের ঝামেলা মাথায় আনতে ইচ্ছে করে না, তেমন ব্যক্তিগত জীবনেও কাজকে প্রবেশ করতে দেবেন না। তবে একজন ভালো কর্মীর পাশাপাশি ভালো জীবনসঙ্গী হতে পারবেন আপনি। 

এনএম