লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই দিনের একটি বড় সময় কাটান কর্মস্থলে। একই অফিসে কাজ করেন যারা তাদের সহকর্মী বলা হয়। সহকর্মী বা কলিগদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়া বেশ স্বাভাবিক। এই সম্পর্ক কখনো কখনো প্রেমে পরিণত হয়। তবে পরিস্থিতি, পারস্পরিক বোঝাপড়ার কারণে ঘটতে পারে বিচ্ছেদও।
প্রেমে বিচ্ছেদ হলেও একই কর্মস্থলে কাজ করা তো আর বন্ধ হয় না। তাই দুজন দুজনকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করেন। একসঙ্গে কাজও করতে চান না। যার প্রভাব পড়ে কাজে এবং অফিসের স্বাভাবিক পরিবেশে। কারো কারো পক্ষে ব্রেকআপের পর সহকর্মীর মুখোমুখি হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। জানুন এমন পরিস্থিতিতে সহকর্মীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায়-

ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন আলাদা রাখুন
ব্যক্তিগত জীবন আর পেশাগত জীবন এক নয়। দুটো আলাদা রাখতে চেষ্টা করুন। দুজনে সম্পর্কে থাকাকালীনও পেশাগত পরিবেশ মেনে চলুন। তাহলে বিচ্ছেদ হলেও পেশাদার সম্পর্ক অটুট থাকবে। মনে রাখবেন, কর্মক্ষেত্রে তার সঙ্গে কেবল আপনার কাজেরই সম্পর্ক।
আরও পড়ুন- প্রাক্তন যদি সহকর্মী হয়, তখন কী করবেন?
আবেগ থাকুক নিয়ন্ত্রণ
যতই আলাদা হয়ে যান না কেন, অফিসে সেই সহকর্মী উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মনে নানা কথা উঁকি দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। কেবল কাজে মন দিন। কথা যদি বলতেই হয় তবে তা কেবল পেশাদার আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।

নেতিবাচক কথা থেকে বিরত থাকুন
ব্রেকআপের পরে, অনেকে অফিসে সেই সহকর্মী সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে শুরু করে। এই কারণে পেশাগত সম্পর্কও নষ্ট হতে পারে। তাই অফিসে ভুল করেও কারো সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করবেন না। অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গেও ব্যক্তিগত গসিপ করবেন না।
আরও পড়ুন- সহকর্মী কি বন্ধু হতে পারেন?
ঝগড়া এড়িয়ে চলুন
কিছু মানুষ ব্রেকআপের পর প্রাক্তনের প্রতি খুব পসেসিভ থাকে। তারা সেই সহকর্মীর সঙ্গে অন্যের ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করে না। এতে শুরু হয় ঝগড়া। তবে সহকর্মীর সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবেন না। তার বদলে নিজের কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করতে চেষ্টা করুন।
এনএম