আমিনুল ইসলাম মল্লিক
০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৩১ পিএম
জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ ছাড়াও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে গত ১২ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামের মাধ্যমে টানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে দলটির অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের মতো কাজ করছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাও। তারই ধারাবাহিকতায় বিচার বিভাগের আস্থা পুনরুদ্ধার চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি সংবাদ সম্মেলন, লিফলেট বিতরণ ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে অনবরত কাজ করছেন তারা। ইতোমধ্যে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সফরও করেছে।
এছাড়াও আগামীকাল শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে সুপ্রিম কোর্টসহ আশপাশ এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অফিসে হামলার প্রতিবাদে কোর্টের বাইরেও সমাবেশ করেছেন।
>> আরও পড়ুন: সমাবেশ শুরু ১১টায়, ১০ দফা কর্মসূচি দেবে বিএনপি
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় এই সমাবেশের দিনক্ষণ আগে থেকেই ঠিক থাকলেও সমাবেশস্থল নিয়ে দোটানায় ছিল দলটি। প্রথম থেকেই নয়াপল্টনে এই সমাবেশ করতে চাইলেও রাস্তাঘাটে সমাবেশে ডিএমপির বাধায় সমাবেশস্থল নিয়ে বাধে বিপত্তি। পরে দফায় দফায় এ নিয়ে আলোচনার পর অবশেষে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। তবে এ ক্ষেত্রেও রয়েছে শর্তের বেড়াজাল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সময়ে দেওয়া ডিএমপির ২৬ শর্ত মেনেই বিএনপিকে এই সমাবেশ করতে হবে। তবে শর্তের বেড়াজালের মাঝেও দলটির পাশাপাশি বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আগামীকালের সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক উপস্থিতির জানান দিতে চান।
>> আরও পড়ুন: হামলা-মামলায় জনস্রোত থামবে না, মাঠ ঘুরে বললেন আমান
গোলাপবাগে সমাবেশের অনুমতির পর বিষয়টি নিয়ে কথা হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা আইনজীবী উপস্থিতির ক্ষেত্রে কাজ করছি নিরলসভাবে। এ ব্যাপারে আমাদের নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। দিন-রাত কাজ করছেন। লিফলেট বিতরণ, সংবাদ সম্মেলন, বিভাগীয় শহরের বারগুলোতে সফরসহ নানা কাজ করছেন তারা।
>> আরও পড়ুন: খোলা মাঠেই রাত কাটাবেন হাজার হাজার নেতাকর্মী
গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, উপস্থিতির বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন তবে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে রেকর্ডসংখ্যক উপস্থিতির জানান দেব। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের সংগঠনের আইনজীবীদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছি। তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোরেশোরে। প্রোগ্রামের দিন সকালে আমরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে উপস্থিত হব। সমাবেশের ব্যানার ফেস্টুন ক্যাপ পড়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ের দিকে রওনা হব। আশা করছি, সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত হবে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এই নেতা বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। তাদেরকে সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গ্রেফতার করছে। দলের মহাসচিবসহ সিনিয়রদের জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জেলে পাঠিয়ে হামলা করে আমাদের তারা আটকাতে পারবে না। বিএনপি এখন নেতানির্ভর দল নয়, এটি জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। জনগণ মাঠ নেমেছে, আন্দোলনের গতি বাড়ছে।
উল্লেখ্য, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১২ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামের মাধ্যমে শুরু হয়ে ইতোমধ্যেই বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ শেষ করছে বিএনপি। আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিএনপির পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচি।
এআইএম/আইএইচ