images

আইন-আদালত

গার্ডার দুর্ঘটনা: ক্রেন চালকসহ ১০ আসামি রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ আগস্ট ২০২২, ০৫:০৭ পিএম

রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার সরানোর সময় তা প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ক্রেন চালক মো. আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়সহ ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য আল-আমিন, রাকিব ও জুলফিকারকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসীন গাজী। শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিনজনকে চার দিন করে মঞ্জুর করেছেন।

এছাড়া রুবেল, মো. আফরোজ মিয়া, মো. ইফতেখার হোসেন, আজহারুল ইসলাম মিঠু, তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার, রুহুল আমিন মৃধা ও মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

RRR

গ্রেফতার আসামিরা হলেন— ক্রেনচালক আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়, রাকিব হোসেন, দুর্ঘটনাস্থলে নিরপাত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফোর ব্রাদার্স গার্ড সার্ভিসের ট্রাফিকম্যান মো. রুবেল, মো. আফরোজ মিয়া, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহ, হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ইফসকন বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. ইফতেখার হোসেন, হেড অব অপারেশন মো. আজহারুল ইসলাম মিঠু, ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেড কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধা ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ভেঙে প্রাইভেটকারে পড়ে নিহত ৫

গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচ জন নিহত হন। তারা একটি বৌভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন।

গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন।

নিহতরা হলেন- রুবেল মিয়া (৫০), ঝর্ণা (২৮), ফাহিমা (৩৭), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। গাড়িতে থাকা হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি বেঁচে যান।

নিহত ফাহিমা হলেন নববধূ রিয়া মনির মা। আর ঝর্ণা হলেন তার খালা। রুবেল সম্পর্কে ফাহিমা-ঝর্ণার বেয়াই। জান্নাত ও জাকারিয়া ঝর্ণার সন্তান। ফাহিমা-ঝর্ণাদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। আর রুবেলের বাড়ি মেহেরপুরে।

আরও পড়ুন: ‘ঝুলন্ত গার্ডার দেখেছি, ওপর থেকে পড়বে ভাবতে পারিনি’

ঘটনার পর ওই রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণার ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা (নম্বর-৪২) দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এমই/জেবি