শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘ঝুলন্ত গার্ডার দেখেছি, ওপর থেকে পড়বে ভাবতে পারিনি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২২, ০২:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ঝুলন্ত গার্ডার দেখেছি, ওপর থেকে পড়বে ভাবতে পারিনি’
ছবি: ঢাকা মেইল

ভাবতেও পারিনি এটা আমাদের ওপরে পড়বে। ঝুঁকির কাজ রাস্তায় কেন করবে। ঝুঁকি নেই দেখেই তো সেখানে যানবাহন চলছিল। সব গাড়ি যাচ্ছে এজন্য আমরা রানিং এ গাড়ি টান দিয়েছিলাম। ক্রস করার সময় ওইটা গাড়ির ওপরে পড়ে। দু’এক সেকেন্ড পরেই গাড়ি এক পাশ কাত হয়ে যায়। সেখানে একটা আমাদের গাড়ি ছিল, দুইটা গাড়ি থাকতে পারতো।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে বসে কথাগুলো বলছিলেন প্রাণে বেঁচে যাওয়া হৃদয়। ‌‌‌‌


বিজ্ঞাপন


সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারও দাবি করেছেন তিনি। দেশে যেন আর এমন ঘটনা না ঘটে। রুবেল অভিযোগ- কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করেছেন এবং অবহেলা থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। ‌

তিনি জানান, গত শনিবার তাদের বিয়ে হয়েছে। ‌সোমবার বৌভাত শেষ করে তারা শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ‌বেঁচে ফেরা দুইজন হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি।

ঘটনার বর্ণনায় হৃদয় বলেন, এয়ারপোর্ট রোডে ক্রেনে একটা বক্স গার্ডার ঝুলছিল। আমরা দূর থেকে এটা দেখেছি। একের পর এক গাড়ি গার্ডারের নিচ দিয়ে চলে যাচ্ছিল। আমরা ভাবলাম, আমরাও যেতে পারবো। যখনই পার হতে গেলাম তখনই গার্ডারটা গাড়ির ওপরে পড়ল। আমি বাবার বাম পাশে ছিলাম, আমার স্ত্রী পেছনের সিটে ছিল। সেও বাম পাশে ছিল। ডান পাশে আমার বাবাসহ বাকিরা ছিল। ডান পাশে যারা ছিল তারা সবাই সেখানেই মারা যায়।

ঘটনার সময় রুবেলের পা গাড়িতে আটকে গিয়েছিল। পরে গাড়ির গ্লাস ভেঙে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে তার স্ত্রী রিয়া মনি গাড়িতে আটকা পড়েছিল। তিনি ১০ মিনিটের মধ্যে বের হতে পারলেও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করতে সময় লেগেছিল আধাঘণ্টা।


বিজ্ঞাপন


এমআইকে/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর