আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৭ এএম
ইসরায়েলের কাছে তামির আদার ও অ্যারি জালমানোবিচ নামে আরও দুই জিম্মির লাশ হস্তান্তর করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
রেডক্রসের কাছে মঙ্গলবার রাতে হস্তান্তর করা হয় লাশগুলো। পরবর্তীতে তা ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
পরে রাতেই তেলআবিবে ন্যাশনাল সেন্টার অব ফরেনসিক মেডিসিনে নেওয়া হয় নিহতদের লাশ। ডিএনএ পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে পরিবারের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৫ জিম্মির লাশ ফেরত দিয়েছে হামাস। মোট ২৮টি লাশ ফেরত দেওয়ার কথা হামাসের।
এখনো খোঁজ নেই নিহত ১৩ জনের। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে হামাস। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের।
আল-জাজিরার সূত্রমতে, যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত রোববার গাজায় ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে ওইদিনই ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। সারাদিন হামলার পর রাতের দিকে আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
গাজা সরকার জানায়, চলতি বছরের ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। তারা আরও জানায়, ইসরাইল এ সময় অন্তত ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে তারা সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে ডজনখানেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ’ রাখার জন্য কাজ করছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গাজা অভিযান এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৮ হাজার ১৫৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ২০৩ জনকে আহত করেছে।
-এমএমএস