images

আন্তর্জাতিক

এবার চীনের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে পারেন ট্রাম্প!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে আগের ২৫ শতাংশসহ ভারতের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। তবে রাশিয়ার তেলের অন্যতম ক্রেতা চীনের ওপর এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তার মতে, নয়াদিল্লির মতো রুশ তেল কেনার শাস্তি পেতে পারে বেইজিংও।

রোববার (১০ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে জেডি ভ্যান্সের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর যে ধরনের শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, চীনের ক্ষেত্রেও কি একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা?

জবাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন তিনি বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন, তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।’ 

তিনি বলেন, ‘চীন বিষয়টি অবশ্য কিছুটা বেশ জটিল, কারণ আমাদের চীনের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক অন্যান্য বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলে, যার সঙ্গে রাশিয়ার পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বিকল্পগুলো পর্যালোচনা করছেন এবং যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এর আগে গত বুধবার এক নির্বাহী আদেশে রাশিয়ার তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। এর ফলে আগের ২৫ শতাংশসহ ভারতের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে এবং বাকি ২৫ শতাংশ শুল্ক আগামী ২৮ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

এরপরেই পাল্টা জবাবে ভারত জানায়, ‘অন্য বহু দেশ নিজেদের জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে একই কাজ করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র শুধু ভারতের ওপরেই অতিরিক্ত শুল্ক চাপাচ্ছে, যা অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অন্যায়। নিজেদের জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ করবে ভারত।’

 মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে চীনা শুল্ক দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে রাশিয়ার থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের তেলের আমদানি করেছে চীন, যা গত মার্চের পর সর্বোচ্চ। যদিও ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের মোট আমদানি এখনও ৭.৭ শতাংশ কম।

এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে চীনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘রাশিয়াসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও জ্বালানি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা চীনের জন্য বৈধ ও আইনসম্মত। আমরা জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী যৌক্তিক জ্বালানি নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখব।’


এমএইচআর