ঢাকা মেইল ডেস্ক
০১ জুন ২০২৪, ১০:০২ পিএম
প্রতিবেশী দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে সাত ধাপে। শনিবার (১ জুন) শেষ ধাপের ভোট সম্পন্ন হতেই সামনে আসছে বুথফেরত নানা জরিপের ফলাফল। এসব জরিপে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। এতে টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে হ্যাটট্রিক করার পথে নরেন্দ্র মোদি।
তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটির শাসনক্ষমতা কার দখলে যাচ্ছে সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী মঙ্গলবার (৪ জুন) পর্যন্ত। সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
সাত ধাপের লোকসভা নির্বাচন শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ প্রকাশিত হতে থাকে। প্রায় সব জরিপে বলা হচ্ছে, বিজেপি বিপুল ব্যবধানে আবার ক্ষমতায় ফিরছে। এতে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার প্রকাশিত পাঁচটি বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি তথা বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট পেতে যাচ্ছে ৩৬৭টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি এককভাবে পাচ্ছে ৩২৭টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক পাচ্ছে ১৪৩টি আসন। এর মধ্যে কংগ্রেস পাচ্ছে মাত্র ৫২টি আসন। যদিও বুথফেরত জরিপ সব সময় সঠিক হয় না।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার দল বিজেপি ব্যাপক ব্যবধানে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাবে।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো দল বা জোট যদি সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ২৭২টিতে জয় পেতে হবে। দেশটির এবারের লোকসভা নির্বাচনে দুটি বড় জোটের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেছে। দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং অন্যটি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইনডিয়া জোট।
২০১৯ সালের নির্বাচনে, বিজেপি ৩০৩ আসন পেয়েছিল এবং তাদের জোট এনডিএ ৩৫২ আসন পায়। কংগ্রেস পেয়েছিল ৫২ আসন এবং ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) মোট ৯১ আসন পায়।
এবারের নির্বাচন শুরুর আগে বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসবে সেই আভাসই ছিল সর্বত্র। তবে নির্বাচনের এক দুই দফা যাওয়ার পর হাওয়া বদল হতে থাকে। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় অনেকের ধারণা, বিজেপির আসন সংখ্যা কমে যেতে পারে। এমনকি বিজেপি এবার আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেও বলছিলেন কেউ কেউ। বিরোধী জোট বেশ চাঙ্গাও হয়ে উঠেছিল।

তবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বুথফেরত জরিপের ফলাফলে হতাশা দেখা যাচ্ছে বিরোধী শিবিরে। যদিও মতামত জরিপের ফলাফলকে প্রত্যাখান করে এগুলোকে পূর্বনির্ধারিত বলে উল্লেখ করছে বিরোধীরা। অপর দিকে টানা দুই মেয়াদ ধরে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি শিবির বেশ ফুরফুরে।
বিজেপি জিতলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই হবেন সেটা চূড়ান্ত। যদিও বিজেপিতে সাধারণত ৭৫ বছর হওয়ার পর রাজনীতিতে থেকে অবসর নেয়। মোদিরও বয়স আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে ৭৫ পূর্ণ হবে। তিনি মেয়াদ পূর্ণ করবেন নাকি উত্তরসূরি হিসেবে কাউকে বেছে নেবেন সে সম্পর্কে এখনো বিজেপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে মোদির পরেই প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জেবি