আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপনের জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দেশটির আলোচিত যোগগুরু রামদেব। ক্ষমা চাইলেও অপরাধের বিষয়ে রেয়াত দিল না আদালত।
মঙ্গলবার রামদেব এবং সহযোগী বালকৃষ্ণকে চরম ভর্ৎসনা করে বিচারপতিরা বলেন, ‘সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছেন আপনারা। গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চান।’
বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়েছে পতঞ্জলি। গত নভেম্বর মাসে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ভুয়া তথ্য দেওয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করলে ১ কোটি রুপি পর্যন্ত জরিমানা ভুগতে হবে। কেবল রামদেব নয়, পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের তোপে পড়েছে ভারত সরকারও।
আরও পড়ুন: ২১৮-৩০০ বার ফেল, ভোটে লড়াই যাদের নেশা!
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।
ইতোমধ্যে সংস্থাটিকে নোটিশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই নোটিসে সুপ্রিম কোর্টে হাজির দিয়ে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাইতে বলা হয়েছিল রামদেব এবং পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণকে। এরপরই টনক নড়ে সংস্থার দুই প্রধানের।
গত সপ্তাহে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চান তারা। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশ মতো শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিয়ে ক্ষমা চান রামদেব। যোগগুরুর আইনজীবী বলেন, ‘আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। তিনি (বাবা রামদেব) এখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইতে উপস্থিত রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সেতু ভেঙে ফেলা জাহাজের সব নাবিক ভারতীয়, ব্যঙ্গচিত্র ভাইরাল
বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, এই ক্ষমা চাওয়া ‘লোক দেখানো। গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন…এখন বলছেন দুঃখিত!’
একে